নামখানা, 5 নভেম্বর : বারবার গতিপথ পরিবর্তন করার কারণে ক্রমশ শক্তি ক্ষয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলেও, নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই পায়নি এরাজ্য ৷ নিম্নচাপের ফলে শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণ 24 পরগনা-সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কেটে গেলেও এই বৃষ্টিতে বেসামাল সুন্দরবনের উপকূল এলাকার বাসিন্দারা ৷ বৃষ্টি ও নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অংশ (vast areas of south 24 parganas are flooded for continuous rain and by river water)
একে বৃষ্টি, তার উপর অমাবস্যার কোটাল এই দুইয়ের জেরে দক্ষিণ 24 পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলের নদী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকার নদী বাঁধের বেহাল দশা। সাগর, নামখানা গোসাবার বেশ কিছু নদী বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। সাগরের বোটখালি, ধোবলাট-সহ কয়েকটি জায়গায় বাঁধ ভেঙে নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে এলাকা । চাষের জমিতেও ঢুকেছে নোনাজল ৷ নামখানার বালিয়াড়ি, সল্টঘেরি-সহ অনেক জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করছে চিনাই নদীর জল ।
আরও পড়ুন : Cyclone Jawad Updates : শক্তি হারিয়ে বঙ্গে ঢুকবে জাওয়াদ
নামখানার মৌসুনি দ্বীপের পর্যটন কেন্দ্রগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাবাসী ও স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, স্থায়ী পাকা বাঁধ না থাকার কারণে বারবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় কাঁচা বাঁধ ভেঙে গিয়ে প্লাবিত হয় গোটা এলাকা। সরকারের কাছে তাঁদের দাবি দ্রুত এখানে পাকা বাঁধ গড়ে দিতে হবে ৷ নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে পাখিরালয়-সহ আশেপাশে বেশ কিছু এলাকাও। ঘোড়ামারা দ্বীপেও হুগলি নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা জানিয়েছেন, সুন্দরবনের বেশ কিছু নদী বাঁধে কোটাল ও বৃষ্টির জেরে ফাটল দেখা দিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী বাঁধ মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে।