গঙ্গাসাগর, 21 মে : আমফান আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই আবারও রাজ্যে আসতে চলেছে আরও একটি বিধ্বংসী ঝড় যশ। ঠিক এক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে ধ্বংসস্তূপ তৈরি করেছিল আমফান। করোনা মহামারির দাপট অপর দিকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত তথা সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে আছড়ে পড়ে আমফান ঝড়। আমফানের ফলে গঙ্গাসাগরের বেশ ক্ষতি হয়। আমফান ঝড়ে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ধবলাট, সুমতিনগর, বঙ্কিমনগর, গঙ্গাসাগর সহ সমগ্র রাজ্যের পান চাষীদের। এই ঝড়ে বহু পানের বরোজ নষ্ট হয়ে যায়।
সম্প্রতি আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে যশ আছড়ে পড়তে পারে 25 ও 26 মে। এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকেও। ইতিমধ্যেই নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে সরকারের তরফে। জানানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকেও।
আরও পড়ুন:ঘূর্ণিঝড় যশের মোকাবিলায় কলকাতা পৌরনিগমের জরুরি বৈঠক
গঙ্গাসাগর এলাকার গ্রামবাসীরা সরকারের কাছে অনেক দিন ধরেই আবেদন করে আসছেন নদী বাঁধের রাস্তাগুলো যেন পাকা করা হয়। সরকারের তরফ থেকে কিছুটা করা হলেও পুরো কাজটা এখনও শেষ করা যায়নি। বেশ কিছু জায়গায় জীর্ণদশা রয়েছে নদী বাঁধগুলির। কিন্তু যশ নামক বিধ্বংসী ঝড় পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়ার পর সাধারণ মানুষ সরকারি সাহায্য কতটা পান সেটাই দেখার বিষয়।