নয়াদিল্লি, 18 ডিসেম্বর: অবশেষে জামিন পেলেন জেএনইউয়ের ছাত্রনেতা উমর খালিদ ৷ বুধবার তাঁর 7 দিনের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করল দিল্লির একটি আদালত ৷ আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য 28 ডিসেম্বর থেকে 3 জানুয়ারি পর্যন্ত একাধিক শর্তে জামিন পেয়েছেন তিনি ৷
কোন কোন শর্তে অন্তর্বর্তী জামিন ?
জামিনে থাকাকালীন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতাকে সোশাল মিডিয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ এছাড়া তাঁর পরিবারের সদস্য, আত্মীয় এবং বন্ধু ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে তিনি দেখা করতে পারবেন না ৷ এদিন বিচারক সমীর বাজপেয়ী তাঁর অর্ডারে বলেন, "এই অন্তর্বর্তী জামিনের সময় আবেদনকারী সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবেন না ৷ আবেদনকারী শুধুমাত্র তাঁর পরিবারের সদস্য, আত্মীয় এবং বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন ৷ তিনি নিজে বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা জানিয়েছেন ৷ তিনি বাড়িতে থাকবেন অথবা বিয়ের অনুষ্ঠানের জায়গায় থাকতে পারবেন ৷"
কী বলল আদালত?
উমর খালিদ আদালতে জানিয়েছিলেন, 2025 সালের জানুয়ারি মাসের 1 তারিখ তাঁর আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে ৷ বিচারক এই বিষয়ে অর্ডারে জানিয়েছেন, "আবেদনকারী (খালিদ) তাঁর আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এবং আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ৷ আদালত একে যথার্থ বলে বিবেচনা করেছে ৷ তাই তাঁকে কাঙ্ক্ষিত জামিন দেওয়া হল ৷"
20 হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ড এবং দু'জন সাক্ষীর বিনিময়ে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন উমর খালিদ ৷ এছাড়া বিচারক খালিদকে শর্ত দিয়েছেন, তিনি মামলার কোনও সাক্ষীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না ৷ তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে তাঁর ফোন নম্বর দিতে হবে ৷ জামিনের মেয়াদ শেষ হলে 3 জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাঁকে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে ৷ এর আগে 2022 সালের ডিসেম্বরে এভাবেই অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন উমর খালিদ ৷
গ্রেফতারির কারণ
2020 সালে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উমর খালিদকে ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করা হয় ৷ এই ঘটনায় বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় 53 জনের মৃত্যু হয়েছিল ৷ 700 জনেরও বেশি জখম হয়েছিলেন ৷ 36 বছর বয়সি এই গবেষক-ছাত্রকে 2020 সালের 13 সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সেই থেকে তিনি জেলে রয়েছেন। একাধিকবার উমর খালিদের জামিন খারিজ হয়েছে আদালতে ৷