সাগর, 27 ফেব্রুয়ারি: স্কুলের ভগ্নপ্রায় অবস্থা ৷ পড়ুয়া আসে দু-এক জন ৷ দুজন শিক্ষিকাকে নিয়ে চলছে স্কুল (Dilapidated Condition of School)। এমনই বেহাল দশা পুরুষোত্তমপুর ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরুষোত্তমপুর মনসা সেবা সদন এসএসকে স্কুলের (South 24 Parganas News)।
2002 সালে গঙ্গাসাগরের ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরুষোত্তমপুর মানব সেবা সদন এসএসকে স্কুল চালু হয় । প্রথমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ছাত্রছাত্রী থাকলেও পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যাটা একেবারেই কমে যায় ৷ স্কুলের খাতায় 11 জন পড়ুয়ার নাম থাকলেও রোজ স্কুলে আসে দু থেকে তিনজন ছাত্রছাত্রী ৷ কোনওদিন আবার সেই সংখ্যাটা একে গিয়েও দাঁড়ায় । দুজন শিক্ষিকা নিয়ে কোনও রকমে চলছে স্কুল ।
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা ঠিকঠাক না হওয়ার কারণেই তাঁরা পার্শ্ববর্তী এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের উপর ভরসা করে সেখানে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করছেন ৷ অন্যদিকে, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম থাকার কারণে মিড ডে মিলও রোজ হয় না ৷ তবে ওই স্কুলের শিক্ষিকার দাবি, স্কুলের এমন অনেক পড়ুয়া আছেন যাদের স্কুলের খাতায় নাম রয়েছে, প্রতি বছর তাদের সরকারি সার্টিফিকেটও প্রদান করা হয় ৷ কিন্তু কোনওদিনই সেই সমস্ত পড়ুয়া স্কুলে আসে না, তারা সবাই পার্শ্ববর্তী মিশনে ভর্তি হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত ভগ্নপ্রায় ঘরেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, আতঙ্কে আসছে না শিশু ও গর্ভবতী মহিলারা
সরকারি টাকা দিনের পর দিন নয় ছয় হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের । তবে বিরোধীদের দাবি, স্কুলের পরিকাঠামো ঠিকঠাক না হওয়ার কারণেই ছাত্রছাত্রীরা আসছে না ৷ তবে বছরের পর বছর এই ভাবেই স্কুল চালিয়ে সরকারি মাইনে পাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ৷ আর এই ভাবেই সরকারি টাকা নষ্ট হচ্ছে ।
যদিও এই প্রসঙ্গে গঙ্গাসাগর বকখালি ডেভলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার পাত্র বলেন, "বাংলা পোর্টালে দেখাচ্ছে ওই স্কুলে আট জন পড়ুয়া রয়েছে । 20 জনের নীচে হলে আমরা স্কুলটা বন্ধ করতে পারি । তবে আমরা এপ্রিল মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করছি । তারপরেও একই অবস্থা থাকলে ওই পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে । শিক্ষকদেরও অন্যত্র বদলি করব ।"