ডায়মন্ডহারবার, 23 মে : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ । বুধবার ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ঘণ্টায় 150 কিমি বেগে আছড়ে পড়তে পারে । ইতিমধ্যে যশের মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন । নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে মনিটরিং করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রী দফায় দফায় বৈঠক করছেন জেলাশাসকদের সঙ্গে ৷ যশ মোকাবিলায় সব রকমের আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখতে চায় রাজ্য প্রশাসন।
ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ নদীগুলিতে বাঁধ মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে । পাশাপাশি সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার মহকুমাশাসক, পুলিশ আধিকারিক ,মৎস্যজীবী সংগঠন, ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন । আজ ডায়মন্ডহারবারের মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহা ও ডায়মন্ডহারবারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শান্তনু সেন ও মন্দিরবাজার, কুলপি, ফলতা, মগরাহাটের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন । ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় বাসিন্দাদের যশ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : যশ নিয়ে একাধিক নির্দেশ মোদির, ত্রাণ-উদ্ধারে তৈরি বাহিনী
দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের ফ্লাড সেন্টারে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে । করোনা মহামারির কথা মাথায় রেখে প্রতিটি ফ্লাড সেন্টারগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা রেখেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ । ফ্লাড সেন্টারগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার ও ওষুধ মজুত রাখার কাজ চলছে । উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । মহকুমারশাসক দপ্তরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুমও । প্রস্তুত কুইক রেসপন্স টিম ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদ্যরা ।