কলকাতা, 14 জানুয়ারি: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিউটাউন থানার আইসি-কে ক্লোজ করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিল পুলিশ ৷ একইসঙ্গে অভিযুক্তের জামিন খারিজের জন্যেও আবেদন করেছে পুলিশ । মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানাল রাজ্য।
রাজ্যের রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ । তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ, কেন বিধাননগরকে কমিশনারেট করা হল, তার তো কোনও নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা আছে কি না, না-হলে ওটা তো একটা জেলার অংশ । ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিশ্চয়ই কিছু বিশেষত্ব আছে ৷ সেখানে যদি পুলিশ সুশিক্ষিত না-হয় তাহলে তো রাজ্য পুলিশের অন্য অংশের বাহিনীর মতো এখানেও একইভাবে পুলিশ কাজ করবে । আগেও বলা হয়েছে নিউটাউন, রাজারহাট সেই গুরুত্বপূর্ণ থানা, যেখানে বাইরে থেকে বিনিয়োগকারীরা আসেন । ফলে সেখানে যদি পুলিশ প্রশিক্ষিত না-হয় তাহলে সেটা সমাজের জন্যেই খারাপ বার্তা দেবে । একই সমস্যা বাগুইহাটি থানার । না-হলে একটা থানার মধ্যে থেকে তিনটে গাড়ি চুড়ি হয়ে যায় ! ফলে কমিশনারেটে কর্মরত পুলিশদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের পক্ষে সওয়াল করল হাইকোর্ট।
সেই ঘটনায় রাজারহাট নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের হয় । আবার হামলাকারীদের তরফে পাল্টা অভিযোগও দায়ের করা হয়। নিউটাউন থানার আইসি প্রোমোটারের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় এফআইয়ার দায়ের করায় জামিন পেয়ে যান। তারপরই জমির মালিক কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
গত শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পুলিশের উপর চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেন । আইটি হাবের মতো জায়গায় রাজ্যের 'ফেস লস' করছে পুলিশ বলে উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি । একইসঙ্গে পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অবিলম্বে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ না-নিলে বিচারপতি নেবেন বলেও উল্লেখ করেছিলেন । তারপরই আজ ওই আইসি-কে ক্লোজ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।