গঙ্গাসাগর, 4 জানুয়ারি : কোরোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গঙ্গাসাগর মেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে । জেলাশাসক পি উলগানাথন নিয়মিত ভিডিয়ো কনফারেন্সের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের আধিকারিক সহ এসডিও, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মেলা নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করছেন । বিগত বছরগুলির মতো এবারও তীর্থযাত্রীদের জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও স্বাস্থ্যবিধির উপর বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে প্রশাসন । জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, টেলি যোগাযোগের বিকল্প হিসেবে আই স্যাটের ব্যবস্থা করা হবে । এছাড়াও ঢেলে সাজানো হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা । বায়ো টয়লেট, ই ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার সহ পরিবহন ব্যবস্থায় কোরোনা বিধি মেনে দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা চালাচ্ছে প্রশাসন কর্তারা ।
নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা । ওই সময় কুম্ভমেলা না থাকায় গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীর সংখ্যা এবার আরও বাড়বে বলে অনুমান জেলা প্রশাসনের । ফলে, কোরোনা বিধি মেনেই মেলা প্রস্তুতিতে কোনওরকম ফাঁক রাখতে চাইছে না প্রশাসন । মেলা শুরুর আগেই প্রস্তুতি সেরে নিতে বাড়তি কর্মী নামিয়ে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে । মেলা প্রাঙ্গণসহ কচুবেড়িয়া ও বেণুবন পয়েন্টে আই স্যাট রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নেট বন্ধ হয়ে গেলে আই স্যাট প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
নিরাপত্তার উপর বাড়তি নজর দেওয়ারও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে । বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গন সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে । নিরাপত্তার নজরদারিতে জলপথে সাগরদ্বীপে পৌঁছানোর লট নম্বর আট-কচুবেড়িয়া ও নামখানা-চেমাগুড়ি পয়েন্টে মোতায়েন থাকবে পুলিশ । এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে যাতায়াতের প্রত্যেকটি পয়েন্টেও কড়া নজরদারি রাখা হবে । নবান্ন থেকে সরাসরি মেলা প্রাঙ্গণের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে । বাসে যাতে ভিড় না হয় , সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে সেদিকটা মাথায় রেখে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে ।
আরও পড়ুন, গঙ্গাসাগর মেলার আগে মুড়িগঙ্গা নদীতে চলছে ড্রেজ়িংয়ের কাজ
অন্যদিকে, নদী পথেও ভেসেলের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে । তবে বাসে বা ভেসেলে ওঠার আগে তীর্থযাত্রীদের থার্মাল গানের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হবে । গঙ্গাসাগর আসতে যে জেটিগুলি ব্যবহৃত হয়, প্রত্যেকটি জায়গাতেই লাগানো হবে স্যানিটাইজ়ার ট্যানেল। মেলার প্রত্যেকটি প্রবেশপথেও টানেল বসবে । বিনামূল্যে মাস্কও বিলি করা হবে । সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুণ্য়ার্থীদের সচেতন করতে বিভিন্ন ভাষায় লিফলেট বিলি ও মাইকে প্রচার চালানো হবে ।