ক্যানিং, 31 মে : এক যুবকের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস । 18 মে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি (One arrested for conspiring to murder MLA)। সোমবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চিরঞ্জিত হালদার ওরফে চিরন নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে । মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে । পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ।
এই অভিযোগের ভিত্তি কী, এই ষড়যন্ত্রে আর কারা যুক্ত, কোন পথে পরিকল্পনা সফল করার চেষ্টা করছিলেন তিনি সবটাই জানতে চায় পুলিশ । বিধায়ক পরেশরাম দাস আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন, গোপন সূত্রে তাঁর কাছে খবর এসেছে, ক্যানিংয়েরই যুবক চিরঞ্জিত হালদার ওরফে চিরণ তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করছে ৷
ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, "গত 18 মে আমাদের ক্যানিং থানায় একটা অভিযোগ আসে । চিরঞ্জিত হালদার নামে একজন তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক । এরপরই শুরু হয় তদন্ত । ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু হয় । সোমবার নরেন্দ্রপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে । মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে । আমরা সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে চাইব । এরপর আদালত যা নির্দেশ দেবে । হেফাজতে নিয়ে আমরা অভিযুক্তকে জেরা করে মূল ঘটনা জানতে চাইব । আর কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত তাও জানতে চাওয়া হবে । কীভাবে গোটা ঘটনা সাজাতে চেয়েছিল খুঁজে বের করব ।"
আরও পড়ুন : জেলে বসেই বিধায়ককে খুনের ছক ! পুলিশে অভিযোগ দায়ের
মাস ছয়েক আগে ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা কমল মল্লিককে খুনের অভিযোগ ওঠে এই চিরন ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে । ঘটনার তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত চিরন-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ । বিচারে জেল হয় চিরনের । জেলে থাকাকালীনই ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাসকে খুনের পরিকল্পনা করা হয় বলে সূত্রের খবর।বিধায়ককে খুনের চক্রান্তে মনিরুল নামে বাসন্তীর এক যুবককে সঙ্গী করেছিল চিরন । গত কয়েকদিন আগে মনিরুল নিজেই এ বিষয়ে বিধায়ককে ফোন করে জানান । এরপর বিধায়ক লিখিতভাবে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শ্রীমতি পুষ্পাকে বিষয়টি জানালে নড়েচড়ে বসে পুলিশ । সোমবার রাতে অভিযুক্তকে নরেন্দ্রপুর থেকে গ্রেফতার করে বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ বা এসওজি ও ক্যানিং থানার পুলিশ ।