ETV Bharat / state

ছেলে-বউমার অত্যাচারে অতিষ্ট, থানায় বৃদ্ধার যত্ন নিলেন OC

থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে মানবিকতার পরিচয় পেলেন ভাঙর থানা এলাকার বাসিন্দা আলতামনি নস্কর। ভাঙড় থানার OC হাবুলকুমার আচার্য ওই বৃদ্ধার খাবারের ব্যবস্থা করেন। নিজের টাকায় জুতো কিনে দেন। এমন কী নিজের দায়িত্বে বৃদ্ধাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

author img

By

Published : Mar 14, 2019, 1:37 PM IST

ভাঙড় থানায় বৃদ্ধা আলতামনি নস্কর

ভাঙড়, ১৪ মার্চ : ভালো করে চলাফেরা করতে পারেন না। দুবেলা খাবারের জন্য ছেলে বউমার উপর ভরসা করতে হয়। কিন্তু বাড়িতে তারা অত্যাচার করে। এই অভিযোগ জানাতে বৃদ্ধা থানায় গেছিলেন। তাঁর নাম আলতামনি নস্কর। তিনি গতকাল ভাঙড় থানায় গিয়ে ছেলে ও বউমার নামে অভিযোগ করেন। এরপর ভাঙড় থানার OC হাবুলকুমার আচার্য মানবিকতার পরিচয় দিলেন। তিনি বৃদ্ধার খাবারের ব্যবস্থা করেন। নিজের টাকায় জুতো কিনে দেন। এমন কী নিজের দায়িত্বে বৃদ্ধাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

আলতামনি নস্করের স্বামী আগেই মারা গেছেন। তাঁর পাঁচ ছেলে। ছেলেদের মধ্যে একজন মারা গেছেন আর একজন অসুস্থ। আলতামনি ছোটো ছেলে দেবদাস নস্কারের সাথে থাকেন। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ছেলে ও বউমা তাঁর উপর অত্যাচার করে। গতকাল বউমা তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে। এমন কী গলায় পা তুলে দেয়। চুলও ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। দুদিন ধরে তাঁকে খেতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে কাপড়-জামাও কিনে দিত না। এই অভিযোগ করতে তিনি থানায় যান। এরপর ভাঙড় থানার OC হাবুলকুমার আচার্য তাঁর যত্ন নেন। তাঁর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বৃদ্ধার পায়ে জুতো না থাকায় হাবুলবাবু তাঁকে জুতো কিনে দেন। বাড়িতে পাঠানোরও ব্যবস্থা করেন। আপাতত এক সিভিক ভলান্টিয়রকে তাঁর খেয়াল রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর ছেলেকে থানায় ডাকা হয়। তাকে মুচলেকা লিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। OC হাবুলকুমার আচার্য জানান, পরেও এই ঘটনা ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ছেলে ও বউমা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বৃদ্ধার বউমা মৌসুমি নস্করের দাবি, শাশুড়ি মিথ্যা কথা বলছেন।

ভাঙড়, ১৪ মার্চ : ভালো করে চলাফেরা করতে পারেন না। দুবেলা খাবারের জন্য ছেলে বউমার উপর ভরসা করতে হয়। কিন্তু বাড়িতে তারা অত্যাচার করে। এই অভিযোগ জানাতে বৃদ্ধা থানায় গেছিলেন। তাঁর নাম আলতামনি নস্কর। তিনি গতকাল ভাঙড় থানায় গিয়ে ছেলে ও বউমার নামে অভিযোগ করেন। এরপর ভাঙড় থানার OC হাবুলকুমার আচার্য মানবিকতার পরিচয় দিলেন। তিনি বৃদ্ধার খাবারের ব্যবস্থা করেন। নিজের টাকায় জুতো কিনে দেন। এমন কী নিজের দায়িত্বে বৃদ্ধাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

আলতামনি নস্করের স্বামী আগেই মারা গেছেন। তাঁর পাঁচ ছেলে। ছেলেদের মধ্যে একজন মারা গেছেন আর একজন অসুস্থ। আলতামনি ছোটো ছেলে দেবদাস নস্কারের সাথে থাকেন। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ছেলে ও বউমা তাঁর উপর অত্যাচার করে। গতকাল বউমা তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে। এমন কী গলায় পা তুলে দেয়। চুলও ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। দুদিন ধরে তাঁকে খেতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে কাপড়-জামাও কিনে দিত না। এই অভিযোগ করতে তিনি থানায় যান। এরপর ভাঙড় থানার OC হাবুলকুমার আচার্য তাঁর যত্ন নেন। তাঁর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বৃদ্ধার পায়ে জুতো না থাকায় হাবুলবাবু তাঁকে জুতো কিনে দেন। বাড়িতে পাঠানোরও ব্যবস্থা করেন। আপাতত এক সিভিক ভলান্টিয়রকে তাঁর খেয়াল রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর ছেলেকে থানায় ডাকা হয়। তাকে মুচলেকা লিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। OC হাবুলকুমার আচার্য জানান, পরেও এই ঘটনা ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ছেলে ও বউমা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বৃদ্ধার বউমা মৌসুমি নস্করের দাবি, শাশুড়ি মিথ্যা কথা বলছেন।

বয়সের ভারে এখন আর ভালো করে চলা ফেরা করতে পারেনা। দুবেলা খাওয়া পরার জন্য তাই ভরসা ছেলে বৌমার উপর। অন্য মায়েদের মত দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ভাঙড়ের রাঙসারা গ্রামের আলতামণি নস্কর ও বৃদ্ধা বয়সে সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য বিমুখ। খাওয়া পরার জন্য দুবেলা ছেলে বৌমার কাছ থেকে শুনতে হয় নানান কথা। সময়ে অসময়ে চড় লাথি থাপ্পড় মারা হত বলে অভিযোগ। বৃদ্ধার স্বামী অনেক আগেই মারা গিয়েছে। পাঁচ ছেলের মধ্যে কিছুদিন আগেই এক ছেলে দেহ ত্যাগ করেছে। এক ছেলে অসুস্থ। ফলে ছোট ছেলে দেবদাসের কাছে ঠাই হয় বৃদ্ধার। ছেলের বিয়ের পর থেকে ছেলে এবং বৌমা নানা ভাবে অত্যাচার করত। এদিন বৌমা প্রচন্ড মারধর করে গলায় পা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি মাথার চুল ছিড়ে দেয় বলে জানান বৃদ্ধা। ছেলে বৌমা দুদিন খাওয়া দেয়নি, কাপড় জামা কিছু কিনে দেয়না সেই অভিযোগ নিয়ে টলতে টলতে ভাঙড় থানায় এসে অভিযোগ জানায় আলতা মনি। ভাঙড় থানার আধিকারিক হাবুল কুমার আচার্য নিজের মানবিকতার পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধার খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরার জুত না থাকায় সঙ্গে সঙ্গে নিজের পকেট থেকে টাকা বার করে জুতে কিনে আনিয়ে নিজের হাতে পড়িয়ে দেয়। বৃদ্ধাকে আসস্থ করে সব সময় পুলিশ পাশে আছে বলে। নিজের দায়িত্বে বৃদ্ধাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আপাতত সারাক্ষনের জন্য একজন সিভিক কে বৃদ্ধার খেয়াল রাখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় থানার পক্ষ থেকে। বৃদ্ধার ছেলেকে ডেকে মুচলেখা লেখা নিয়ে আপাতত ছেড়ে দেন। পরবর্তি সময়ে এমন কিছু ঘটনা ঘটলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। ছেলে বৌমাকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বললে, তারা প্রথমে কিছু বলতে চাইছিলো না। পরবর্তিতে সংবাদ মাধ্যমের দিকেই আঙুল তোলেন। বৌমা মৌসুমি নস্কর শ্বাশুড়ি মিথ্যা কথা বলছেন বলে দাবি করে। 

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.