সাগর, 4 মে : ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল শ্রমিকের । সহকর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল আরেক সহকর্মীর বিরুদ্ধে । এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার গঙ্গাসাগরে । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু'মাস আগে ঠিকা শ্রমিকের কাজে সাগরের ধসপাড়া মনসা মোড়ের বাসিন্দা সুব্রত হাজরা ও তাঁর বোন টুম্পা হাজরা চেন্নাই রওনা দেন । এছাড়া ওই এলাকার তিনজন প্রতিবেশী যুবক জগন্নাথ ঘড়াই, মধুমঙ্গল ও শংকর মণ্ডলও তাঁদের সঙ্গেই যান (Migrant labourer from Sagar South 24 Parganas allegedly murders co-worker in Chennai) ৷
জগন্নাথ ঘড়ুাই ঠিকা শ্রমিকের অপারেটরের কাজ করে । রবিবার রাতে মৃত শ্রমিক সুব্রতর বাড়িতে ফোন করে তাঁর বোন পরিবারকে জানায় দাদা জীবিত নেই । স্বাভাবিকভাবে এই ফোনে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যরা । এরপর মঙ্গলবার চেন্নাই থেকে সুব্রতর (20) মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে আসে তাঁর বোন টুম্পা হাজরা । এদিকে মৃতদেহ প্রাপকের নামের জায়গায় 'জগন্নাথ ঘড়াই'য়ের নাম লেখা রয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Deganga Workers Death: ম্যাঙ্গালুরুতে মৃত শ্রমিকরা দেগঙ্গার, মৃতদের পরিবারকে দেওয়া হবে 2 লক্ষ টাকা
বাড়ি ফিরে টুম্পা সুব্রতর মৃত্যু-রহস্যের পর্দা ফাঁস করে । তার অভিযোগ, দাদা সুব্রতকে খুন করেছে জগন্নাথ, মধু, শংকর । টুম্পা জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই সুব্রত জগন্নাথের কাছে একটি ফোন কিনে দেওয়ার জন্য আবদার করছিলেন । জগন্নাথ ফোন কিনে না দেওয়ায় দু'জনের মধ্যে বচসা বাধে । টুম্পার চাঞ্চল্যকর দাবি, খুনের দিন রাতে জগন্নাথ, মধু, শংকর বাজার থেকে মদ আর মাংস কিনে আনে ৷ সবাই মিলে মদ খায় । টুম্পা বলে, "এরপর সুব্রতকে নিয়ে ওরা বাইরে চলে যায় ৷ আমার দাদা বাড়ি আসেনি । আমি বারবার দাদা কোথায় জিজ্ঞাসা করলে ওরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় । এরপর আমি চুপ করে যাই ৷"
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাগর থানার পুলিশ । তবে মূল জগন্নাথ ঘড়াই ও তার সঙ্গীরা পলাতক । রোজগেরে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ পরিবার ।