কাকদ্বীপ, 26 অগস্ট : দক্ষিণ 24 পরগনা জুড়ে ঘূর্ণিঝড় যশের স্মৃতি এখনও দগ্ধ। কাকদ্বীপের ভুবন নগরের পয়লাঘেরি এলাকায় কালনাগিনী নদীবাঁধে আচমকা ধস ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। আমফানের পর যশের জলোচ্ছ্বাসের জেরে বেহাল হয়ে পড়েছিল বিস্তীর্ণ নদীবাঁধ। যদিও সেচ দফতর ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে বেশকিছু জায়গায় নদীবাঁধ মেরামত হলেও বর্ষার লাগাতার বৃষ্টিতে বেহাল দশা হয়ে পড়েছে কালনাগিনী নদীবাঁধের ৷
সেচ দফতর ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে যে বাঁধ মেরামত করা হয়েছিল কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে তা আবারও আগের অবস্থায় ফিরে গিয়েছে ৷ বাঁধের মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় যে কোনও সময় বিপত্তির আশঙ্কায় দিন গুনছেন এলাকার বাসিন্দারা। নদীবাঁধ আরও বেহাল হয়ে পড়ায় পয়লাঘেরি এলাকায় প্রায় 200 মিটার নদীবাঁধে ধস নামে। বাঁধের উপরে থাকা ইটের রাস্তা থেকে ইলেকট্রিক পোস্ট সহ বহু গাছ ধসের মুখে পড়ে। খবর পেয়ে কাকদ্বীপ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক ও সেচ দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সমগ্র গ্রাম এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারের জলজীবন মিশন প্রকল্প খতিয়ে দেখতে এল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল
ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকদের তরফে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রতি বছরই নামমাত্র বাঁধ সংস্কারের কাজ করলেও স্থায়ী বাঁধ না থাকায় বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ও বর্ষার ভরা কোটালের জেরে প্লাবিত হয় গোটা এলাকা। গ্রামবাসীদেরকে স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কথা বলা হলেও তার কোনও সুরাহা হয়নি।