ফলতা, 31 অগস্ট: পাতে ইলিশ, ঝলমলে খুদেদের মুখ । ঠিক যেন রূপোলি ইলিশের মতোই উজ্জ্বল । কথা হচ্ছে, দক্ষিণ 24 পরগনার ফলতার অবৈতনিক প্রাইমারি স্কুলে। মিড ডে-মিলে ডিম কিংবা মাংস নয়, এই স্কুলের পড়ুয়াদের পাতে এবার পড়ল ইলিশ। পড়ুয়াদের পাতে স্কুলের মিড ডে মিলে ইলিশ দেওয়ার বিষয়টি অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি ৷
এ বিষয়ে ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়-এর প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর বলেন, "প্রতিনিয়ত আমরা মিড ডে মিলের খাবারে পরিবর্তন করি। মিড ডে মিলের খাবারের মেনুতে পরিবর্তন এনে কখনও ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন, কখনও আবার বিরিয়ানির মতো খাবারও দেওয়া হয়ে থাকে ৷"
জানা গিয়েছে, এই দিন আয়োজনে দু’রকম ব্যবস্থা ছিল। স্কুলের একেবারে খুদে পড়ুয়াদের জন্য ছিল বাগদা চিংড়ি আর বড়দের জন্য ছিল ইলিশ। স্কুলের এক শিক্ষক তিলক নস্কর জানিয়েছেন, ইলিশ মাছের বেশি কাঁটা থাকে আর সেই কাঁটা যাতে খুদে পড়ুয়াদের গলায় আটকে না যায় তার জন্য তাদের চিংড়ি দেওয়া হয়।
পড়ুয়াদের অভিভাবক ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন অভিনব উদ্যোগ বরাবরাই নিয়ে থাকেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ৷ পড়ুয়াদের প্রতিদিন একই রকম খাবার দিতে পছন্দ করেন না তিনি। যে কারণে খাবারের মেনুতে হামেশাই পরিবর্তন আনেন এবং পড়ুয়াদের পাতে সুস্বাদু খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালান।
আরও পড়ুন: পৌর প্রাথমিক স্কুলের মিড-ডে মিলের তালিকায় নেই সুষম আহার 'ডিম'
পড়ুয়ারা যাতে সঠিক পুষ্টি পান তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল । পরে এই প্রকল্পের নাম হয় পোষণ অভিযান । এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে পড়ুয়াদের প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। পুষ্টিকর সেই খাবারের তালিকায় থাকে মাছ, ডিম, মাংস, সোয়াবিন ইত্যাদি। একদিকে যখন জেলার বেশ কিছু স্কুলের মিড মিল নিয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের মধ্যে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়েছিল সেখানে এই ধরনের উদ্যোগ নজরকাড়া ৷