জয়নগর, 16 মে : "অত্যাচার , হিংসা, দুর্নীতির মূলে পিসি-ভাইপো । তাঁদের বাদ দিয়ে সবাইকে দলে নেওয়া হবে ।" গতকাল জয়নগরের সভা থেকে একথা বলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।
গতকাল জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী অশোক কান্ডারির সমর্থনে বকুলতলা এলকায় নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন দিলীপ । সভা থেকে বক্তব্য রাখার সময় তিনি তৃণমূল ও মমতাকে কটাক্ষ করেন । বলেন, "23 তারিখ রেজ়াল্ট । গুন্ডারা সব গর্তে ঢুকে গেছে । পুলিশ বন্ধুরা বুঝে গেছে পালাবদল হচ্ছে । BJP-র সঙ্গে আর পাঙ্গা নিয়ে লাভ নেই । অনেক কেস দিয়েছেন । ঝামেলা করেছেন । আর ঝামেলা করবেন না । 21 সাল পর্যন্ত এই সরকার থাকবে না । 23, 25 টা সিট যদি জিতি তাহলে 100 জন MLA আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন । খালি হাওয়াটা দেখছেন । রেজ়াল্টটা ঘোষণা হোক । এই সরকার পড়ে যাবে । সবাই ছুটে আমাদের দিকে আসবে । পিসি-ভাইপো বাদ দিয়ে সবাইকে আমরা নিয়ে নেব । ওই দু'জনকে নেওয়া যাবে না । যত অত্যাচার, হিংসা, দুর্নীতির মূলে ওই দু'জন আছে ।"
মঙ্গলবার অমিত শাহের রোড শো-এর প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ বলেন, "ঝড় যে আসছে তা কলকাতায় অমিত শাহের রোড শো দেখে বোঝা গেছে । লাখ লাখ মানুষ নেমেছে । টিভিতে লাইভ দেখাচ্ছে । আর তাই দিদি বললেন, গেল গেল । আরে অন্যান্য জায়গায় হেরে গেছি । কলকাতায় অন্তত জিতি । কী করে জিতবেন ? লোকের ভোট চাই তো । আর লোক ভোট দেবে না । তাই মারপিট, ইট মারা । তারপর বিদ্যাসাগরের মূর্তিটা ভেঙে দিয়ে নাটক করে বলছে BJP ভেঙে দিয়েছে । তিনটে গেটে তালা বন্ধ । আমরা ঢুকব কী করে ? প্রেসের লোকেরাও ঢুকতে পারেনি । আমরাও ঢুকতে পারিনি । ছিল তোমার গুণধর ভাইরা । ইঞ্চি সাইজ়ের দিদির যত ভাই । তারা গুন্ডামি করে খায় । তারা ভিতর থেকে কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক বলছিল । তাদের মধ্যে একজনের মাথা ফেটেছে । জানি না ওরা মেরেছে না কি আমাদের ইট লেগেছে । ইটের বদলে পাটকেল মেরেছি আমরা । একজন ভরতি হয়েছে হাসপাতালে । সে ছাত্র নয় । বিদ্যাসাগর কলেজের নয় । সে ওখানে এসেছে কারণ সে তৃণমূলের ছাত্রনেতা । সে কলেজে ভরতির টাকা নেয় । তোলাবাজি করে । তার নামে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় FIR আছে । এই সিন্ডিকেট, তোলাবাজরা দিদির ভাই । এরা কলেজ কবজা করে রেখেছে । আপনি গরিব বা ধনী যে হোন টাকা ছাড়া ছেলেমেয়েকে ভরতি করতে পারবে না ।"
বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দিয়ে BJP-র নামে বদনাম করা হচ্ছে । বাংলার মানুষকে আর বোকা বানাতে পারবে না । মমতা ব্যানার্জি ছুটে এসেছেন হাহাকার করে । আহা রে ! কী বিদ্যাসাগরে প্রেম । আমি মেদিনীপুরের ছেলে । আমি জানি বিদ্যাসাগর কে ? আপনি শ্যামাপ্রসাদকে সম্মান দিন । আপনি না দক্ষিণ কলকাতার । শ্যামাপ্রসাদও দক্ষিণ কলকাতার । গতবছর শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল । মমতা ব্যানার্জি এসেছিলেন ? না । রাস্তায় নেমেছিলেন ? না । কেন ? শ্যামাপ্রসাদ কি মনীষী নন ? আসলে এখন একটা সহানুভূতি তৈরি করতে হবে । বাংলার মানুষকে খ্যাপাতে হবে । দিনরাত রাস্তায় হেঁটে বেড়াচ্ছেন । মানুষের যখন মাথা খারাপ হয়ে যায় তখন বাড়িতে থাকতে পারে না । তাই একবার এদিক যাচ্ছে, ওদিক যাচ্ছে ।"