ETV Bharat / state

নরেন্দ্রপুরে উদ্ধার দম্পতির ট্রলিবন্দী মৃতদেহ, খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ - murder

নরেন্দ্রপুরের তিউড়িয়ায় ট্রলিবন্দী অবস্থায় উদ্ধার হল দম্পতির মৃতদেহ ৷ দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 30, 2019, 2:09 PM IST

Updated : Jul 30, 2019, 7:51 PM IST

নরেন্দ্রপুর, 30 জুলাই : শেষ দেখা গিয়েছিল রবিবার ৷ তারপর আজ ট্রলিবন্দী অবস্থায় নরেন্দ্রপুরের তেউড়িয়ার বাগানবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রদীপ বিশ্বাস ও আল্পনা বিশ্বাসের মৃতদেহ ৷ 22 বছর ধরেই ওই বাগানবাড়িতে কেয়ার টেকারের কাজ করতেন ওই দম্পতি ৷ কিন্তু কেন এই খুন তা নিয়ে এখন ধোঁয়াশায় পুলিশ ৷ তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই খুন একজনের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ একাধিকজন এই দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত ৷

দীপঙ্কর দেসহ মোট সাতজন নরেন্দ্রপুরের তিউড়িয়ার ওই বাগানবাড়িটি কেনেন ৷ সেখানে 1997 সাল থেকে কেয়ার টেকারের কাজ করতেন প্রদীপ ও আল্পনা ৷ আগে ট্যাংরায় থাকতেন ওই দম্পতি ৷ মাসে এক-দু'বার প্রদীপ বিশ্বাসের ভাই জয় বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী এসে ওই দম্পতির সঙ্গে বাগানবাড়িতে দেখা করে যেতেন ৷ রবিবার স্থানীয় কয়েকজন প্রদীপ ও আল্পনাকে শেষবারের মতো দেখেন ৷ তারপর থেকে আর খোঁজ নেই ওই দম্পতির ৷ ফোনে দাদাকে না পেয়ে আজ বাগানবাড়িতে আসেন প্রদীপের ভাই জয় ৷ বাড়ির মেইন গেট ভিতর থেকে বন্ধ ছিল ৷ সন্দেহ হয় জয়ের ৷ তিনি বাগানবাড়ির পিছনের দিকে যান ৷ দেখান, দরজা ভাঙা ৷ বারান্দায় ছোপ ছোপ রক্তের দাগ ৷ পান দুর্গন্ধও ৷ পুলিশে খবর দেন জয় ৷

image
বাথরুম থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে আসে ৷ বাগগানবাড়ির ভিতরে পুলিশকর্মীরা দেখেন, বিছানায় রক্তের দাগ ৷ পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জামাকাপড় ৷ ঘরের শৌচালয়ের সামনে দুটি ট্রলি ব্যাগ দেখা যায় ৷ ট্রলি খুলতেই সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ে প্রদীপ ও আল্পনার মৃতদেহ ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন SP বারুইপুর রাশিদ মুনির খান ৷ তিনি জানান, দেহদুটি পচতে শুরু করে দিয়েছে ৷ সম্ভবত, দু-তিনদিন আগে মৃত্যু হয়েছে দম্পতির ৷

পুলিশ সুপার রাশিদ মুনির খান বলেন, "একাধিক জায়গায় রক্তের দাগ পাওয়া গেছে ৷ ফরেন্সিককে খবর দেওয়া হয়েছে ৷ তারা তদন্তের স্বার্থে সেই রক্তের নমুনাগুলি নিয়ে পরীক্ষা করবে ৷ বাড়ি থেকে কিছু লুট হয়েছে বলে মনে হয় না ৷ কারণ আলমারিতে 2500 টাকা রাখা ছিল ৷ সেটা এখনও রয়েছে ৷ তবে, এই বাড়ির এক অংশীদার দীপঙ্কর দে জানিয়েছেন, একটি টি.ভি সেট ছিল ৷ সেটা নেই ৷ তাই ঠিক কী কারণে এই খুন করা হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না ৷ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ যদি লুটের বিষয় হত তাহলে ওই দম্পতিকে মেরে ট্রলিতে ভরে রেখে যেত না ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাবে ৷"

নরেন্দ্রপুর, 30 জুলাই : শেষ দেখা গিয়েছিল রবিবার ৷ তারপর আজ ট্রলিবন্দী অবস্থায় নরেন্দ্রপুরের তেউড়িয়ার বাগানবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রদীপ বিশ্বাস ও আল্পনা বিশ্বাসের মৃতদেহ ৷ 22 বছর ধরেই ওই বাগানবাড়িতে কেয়ার টেকারের কাজ করতেন ওই দম্পতি ৷ কিন্তু কেন এই খুন তা নিয়ে এখন ধোঁয়াশায় পুলিশ ৷ তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই খুন একজনের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ একাধিকজন এই দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত ৷

দীপঙ্কর দেসহ মোট সাতজন নরেন্দ্রপুরের তিউড়িয়ার ওই বাগানবাড়িটি কেনেন ৷ সেখানে 1997 সাল থেকে কেয়ার টেকারের কাজ করতেন প্রদীপ ও আল্পনা ৷ আগে ট্যাংরায় থাকতেন ওই দম্পতি ৷ মাসে এক-দু'বার প্রদীপ বিশ্বাসের ভাই জয় বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী এসে ওই দম্পতির সঙ্গে বাগানবাড়িতে দেখা করে যেতেন ৷ রবিবার স্থানীয় কয়েকজন প্রদীপ ও আল্পনাকে শেষবারের মতো দেখেন ৷ তারপর থেকে আর খোঁজ নেই ওই দম্পতির ৷ ফোনে দাদাকে না পেয়ে আজ বাগানবাড়িতে আসেন প্রদীপের ভাই জয় ৷ বাড়ির মেইন গেট ভিতর থেকে বন্ধ ছিল ৷ সন্দেহ হয় জয়ের ৷ তিনি বাগানবাড়ির পিছনের দিকে যান ৷ দেখান, দরজা ভাঙা ৷ বারান্দায় ছোপ ছোপ রক্তের দাগ ৷ পান দুর্গন্ধও ৷ পুলিশে খবর দেন জয় ৷

image
বাথরুম থেকে উদ্ধার মৃতদেহ

নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে আসে ৷ বাগগানবাড়ির ভিতরে পুলিশকর্মীরা দেখেন, বিছানায় রক্তের দাগ ৷ পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে জামাকাপড় ৷ ঘরের শৌচালয়ের সামনে দুটি ট্রলি ব্যাগ দেখা যায় ৷ ট্রলি খুলতেই সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ে প্রদীপ ও আল্পনার মৃতদেহ ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসেন SP বারুইপুর রাশিদ মুনির খান ৷ তিনি জানান, দেহদুটি পচতে শুরু করে দিয়েছে ৷ সম্ভবত, দু-তিনদিন আগে মৃত্যু হয়েছে দম্পতির ৷

পুলিশ সুপার রাশিদ মুনির খান বলেন, "একাধিক জায়গায় রক্তের দাগ পাওয়া গেছে ৷ ফরেন্সিককে খবর দেওয়া হয়েছে ৷ তারা তদন্তের স্বার্থে সেই রক্তের নমুনাগুলি নিয়ে পরীক্ষা করবে ৷ বাড়ি থেকে কিছু লুট হয়েছে বলে মনে হয় না ৷ কারণ আলমারিতে 2500 টাকা রাখা ছিল ৷ সেটা এখনও রয়েছে ৷ তবে, এই বাড়ির এক অংশীদার দীপঙ্কর দে জানিয়েছেন, একটি টি.ভি সেট ছিল ৷ সেটা নেই ৷ তাই ঠিক কী কারণে এই খুন করা হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না ৷ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ যদি লুটের বিষয় হত তাহলে ওই দম্পতিকে মেরে ট্রলিতে ভরে রেখে যেত না ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাবে ৷"

Intro:নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার তিউড়িয়াতে একটি বাগান বাড়ি থেকে টলি বন্দি অবস্থায় স্বামী ও স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার। নাম প্রদীপ বিশ্বাস ও আলপনা বিশ্বাস। তদন্তে পুলিশ। Body:বিগত ২০ বছর ধরে এইব
বাড়িতেই থাকত। গত রবিবার লাস্ট রাতে তাদের দেখা যায়। তারপর থেকে আর কেউ তাদের খোঁজ পায়নি। ফোন করেও পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন বারবার ফোন করেও না পাওযায় আজ সকালে প্রদীপ বাবুর ভাই জয় বিশ্বাস আজ এই বাড়িতে আসেন। তিনি এসে দেখেন বাড়ির মেন গেট বন্ধ। পাশের গেট দিয়ে ঢুকে দেখেন বিছানায় রক্ত পড়ে আছে। বাথরুমে দুটো অ্যাটাচি। সাথে সাথেই নরেন্দ্রপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসে। অ্যাটাচির মধ্যে দুজনের দেহ পায়। তা উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।Conclusion:দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Last Updated : Jul 30, 2019, 7:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.