ETV Bharat / state

স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রহৃত দলেরই লোকজন - shoot

অভিযোগ, দিনের পর দিন এলাকার কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না । খাতায় কলমে গ্রামের রাস্তা তৈরি হয়ে গেলেও বাস্তবে সেই রাস্তার কোনও কাজই হয়নি । এছাড়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন গ্রামবাসী, কয়েকজন যুবক ও স্কুল-কলেজের ছাত্র । এই বিষয়ে প্রতিবাদীরা স্থানীয় বিধায়ক সওকাত মোল্লাকে বিষয়টি জানান । অভিযোগ, তারপরই এলাকার কয়েকজন রাতের অন্ধকারে প্রতিবাদীদের বাড়িতে চড়াও হয় ।

আহত যুবক
author img

By

Published : Jul 9, 2019, 9:01 PM IST

Updated : Jul 9, 2019, 10:31 PM IST

জীবনতলা, 9 জুলাই : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে এলাকায় বোমাবাজি । রাস্তা তৈরির নামে দুর্নীতি করেছে তৃণমূলের বিধায়ক । খাতায় কলমে রাস্তা তৈরির কথা দেখানো হলেও বাস্তবে তা হয়নি । এই অভিযোগ তুলে এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় । দক্ষিণ 24 পরগনার জীবনতলার উত্তর পাতিখালি গ্রামের ঘটনা । ঘটনায় কয়েকজন এলাকাবাসী, কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন । ঘটনায় জখম লোকমান সরদার নামে এক কিশোর । ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে । ঘটনাস্থানে জীবনতলা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে । তৃণমূল বিধায়ক সওকাত মোল্লা ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে এলাকায় বোমাবাজি, গুলি চালানোর, অপর গোষ্ঠীর লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে । ঘটনায় আহত দু'পক্ষের 4জন ।

অভিযোগ, দিনের পর দিন এলাকার কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না । খাতায় কলমে গ্রামের রাস্তা তৈরি হয়ে গেলেও বাস্তবে সেই রাস্তার কোনও কাজই হয়নি । এছাড়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন গ্রামবাসী, কয়েকজন যুবক ও স্কুল-কলেজের ছাত্র । এই বিষয়ে প্রতিবাদীরা স্থানীয় বিধায়ক সওকাত মোল্লাকে বিষয়টি জানান । অভিযোগ, সেই কারণে রাতের অন্ধকারে প্রতিবাদীদের বাড়িতে চড়াও হয় তাঁর গোষ্ঠীর লোকজন । বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি ও সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ ওঠে এলাকারই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে । এলাকার তৃণমূল নেতা আয়ুব সরদারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ।

বিন মহম্মদ সরদার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "আমাদের এলাকায় কোনও উন্নয়নের কাজ হয়নি । অথচ খাতায় কলমে টাকা পেমেন্ট হয়ে গেছে । সেই প্রতিবাদেই আমরা বিধায়কের কাছে গেছিলাম । দুইদিন আগেও সেই কারণে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করা হয়েছিল । তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । আজ আমাদের একই কারণে মারধর করা হল । কাজ যে কিছুই হয়নি সেই প্রমাণ আমার কাছে আছে । এইগুলো কেড়ে নেওয়ার জন্য বোম, বন্দুক নিয়ে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করে । তবে প্রমাণগুলো নিতে পারেনি । তৃণমূলের বোর্ড সভাপতি, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর ছেলে ও ভাইপো, এছাড়াও তৃণমূলের আরও কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আমাদের মারধর করে । এলাকায় বোমাবাজিও করেছে ওরা । বাঁশ, বন্দুক দিয়ে আমাদের 7-8জনকে মারধর করে ।" এলাকার এক তৃণমূল কর্মী গাজি সরদার বলেন, "গ্রামে কোনও রাস্তাঘাট নেই । সেই কারণে আমরা এলাকার MLA-এর কাছে গেছিলাম । উনি বলেছিলেন এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তা তৈরি করে দেবেন । এরপরে আমরা যখন ফিরছিলাম এখানকার বুথ সভাপতি কিছু দুষ্কৃতী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় । গতরাতেও আমাদের উপর হামলা চালানো হয় । এলাকায় গুলি, বোমাবাজি করে ওরা । ওরা যা করবে সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে । কোনও প্রতিবাদ করা যাবে না । হুমকি দেয় । ওরা সবাই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। আমরা নিজেরাও তৃণমূল কর্মী ।"

সওকাত মোল্লা অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন, "ওখানে রাস্তা তৈরির জন্য পঞ্চায়েতের কর্মীরা মাপ নিতে গেছিল । গ্রামের লোকের একাংশের দাবী ছিল ওই রাস্তা 1000 ফুট নয় তা 3000 ফুট করতে হবে । সেই নিয়েই নিজেদের মধ্যে বচসা লাগে । মারপিট হয় । যাঁরা ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছেন তাঁরা বাবা, ছেলে, কাকা, ভাইপো কেউ আবার প্রতিবেশী । সবাই আমাদের লোক । বিষয়টি আমরা দেখছি ।" এলাকার বুথ সভাপতির ছেলেই এই অভিযোগ করেছেন । কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, "পারিবারিক ঝামেলা । আয়ুব সরদারের দু'জন স্ত্রী রয়েছেন । বড়ো স্ত্রী'র ছেলের সঙ্গে গন্ডোগোল রয়েছে । স্বভাবতই পারিবারিক কারণে এই ঝামেলা । ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর করা হয়নি । এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা । এলাকায় বোমাবাজি, গুলি চালানো হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই । কেউ আহতও হননি । এটা বিরোধীরা অপপ্রচার করছে ।" পুলিশও এলাকায় বোমাবাজির কথা স্বীকার করেনি ।

জীবনতলা, 9 জুলাই : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে এলাকায় বোমাবাজি । রাস্তা তৈরির নামে দুর্নীতি করেছে তৃণমূলের বিধায়ক । খাতায় কলমে রাস্তা তৈরির কথা দেখানো হলেও বাস্তবে তা হয়নি । এই অভিযোগ তুলে এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় । দক্ষিণ 24 পরগনার জীবনতলার উত্তর পাতিখালি গ্রামের ঘটনা । ঘটনায় কয়েকজন এলাকাবাসী, কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন । ঘটনায় জখম লোকমান সরদার নামে এক কিশোর । ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে । ঘটনাস্থানে জীবনতলা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে । তৃণমূল বিধায়ক সওকাত মোল্লা ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে এলাকায় বোমাবাজি, গুলি চালানোর, অপর গোষ্ঠীর লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে । ঘটনায় আহত দু'পক্ষের 4জন ।

অভিযোগ, দিনের পর দিন এলাকার কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না । খাতায় কলমে গ্রামের রাস্তা তৈরি হয়ে গেলেও বাস্তবে সেই রাস্তার কোনও কাজই হয়নি । এছাড়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন গ্রামবাসী, কয়েকজন যুবক ও স্কুল-কলেজের ছাত্র । এই বিষয়ে প্রতিবাদীরা স্থানীয় বিধায়ক সওকাত মোল্লাকে বিষয়টি জানান । অভিযোগ, সেই কারণে রাতের অন্ধকারে প্রতিবাদীদের বাড়িতে চড়াও হয় তাঁর গোষ্ঠীর লোকজন । বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি ও সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ ওঠে এলাকারই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে । এলাকার তৃণমূল নেতা আয়ুব সরদারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ।

বিন মহম্মদ সরদার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "আমাদের এলাকায় কোনও উন্নয়নের কাজ হয়নি । অথচ খাতায় কলমে টাকা পেমেন্ট হয়ে গেছে । সেই প্রতিবাদেই আমরা বিধায়কের কাছে গেছিলাম । দুইদিন আগেও সেই কারণে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করা হয়েছিল । তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । আজ আমাদের একই কারণে মারধর করা হল । কাজ যে কিছুই হয়নি সেই প্রমাণ আমার কাছে আছে । এইগুলো কেড়ে নেওয়ার জন্য বোম, বন্দুক নিয়ে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করে । তবে প্রমাণগুলো নিতে পারেনি । তৃণমূলের বোর্ড সভাপতি, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁর ছেলে ও ভাইপো, এছাড়াও তৃণমূলের আরও কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আমাদের মারধর করে । এলাকায় বোমাবাজিও করেছে ওরা । বাঁশ, বন্দুক দিয়ে আমাদের 7-8জনকে মারধর করে ।" এলাকার এক তৃণমূল কর্মী গাজি সরদার বলেন, "গ্রামে কোনও রাস্তাঘাট নেই । সেই কারণে আমরা এলাকার MLA-এর কাছে গেছিলাম । উনি বলেছিলেন এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তা তৈরি করে দেবেন । এরপরে আমরা যখন ফিরছিলাম এখানকার বুথ সভাপতি কিছু দুষ্কৃতী নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় । গতরাতেও আমাদের উপর হামলা চালানো হয় । এলাকায় গুলি, বোমাবাজি করে ওরা । ওরা যা করবে সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে । কোনও প্রতিবাদ করা যাবে না । হুমকি দেয় । ওরা সবাই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। আমরা নিজেরাও তৃণমূল কর্মী ।"

সওকাত মোল্লা অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন, "ওখানে রাস্তা তৈরির জন্য পঞ্চায়েতের কর্মীরা মাপ নিতে গেছিল । গ্রামের লোকের একাংশের দাবী ছিল ওই রাস্তা 1000 ফুট নয় তা 3000 ফুট করতে হবে । সেই নিয়েই নিজেদের মধ্যে বচসা লাগে । মারপিট হয় । যাঁরা ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছেন তাঁরা বাবা, ছেলে, কাকা, ভাইপো কেউ আবার প্রতিবেশী । সবাই আমাদের লোক । বিষয়টি আমরা দেখছি ।" এলাকার বুথ সভাপতির ছেলেই এই অভিযোগ করেছেন । কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, "পারিবারিক ঝামেলা । আয়ুব সরদারের দু'জন স্ত্রী রয়েছেন । বড়ো স্ত্রী'র ছেলের সঙ্গে গন্ডোগোল রয়েছে । স্বভাবতই পারিবারিক কারণে এই ঝামেলা । ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর করা হয়নি । এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা । এলাকায় বোমাবাজি, গুলি চালানো হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই । কেউ আহতও হননি । এটা বিরোধীরা অপপ্রচার করছে ।" পুলিশও এলাকায় বোমাবাজির কথা স্বীকার করেনি ।

Intro:তৃণমূল, বিজেপি অন্যান্য রাজনৈতিক দল ছেড়ে মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রায় দু’হাজার কর্মী সমর্থক। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীর নফরগঞ্জ এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে নবাগত বিজেপি কর্মীদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলার সভাপতি সুনিপ দাস, জেলার বিজেপি নেত্রী অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলিপ ভৌমিক সহ অন্যান্য নেতৃবর্গ।

এই বাসন্তী ছিল এক সময় আরএসপি, সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি। কিন্তু বিগত বিধানসভা ভোটে আরএসপিকে হারিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এই আসনটি যেতে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ও দুর্নীতির ফলে মানুষ হাফিয়ে উঠেছেন। আর সেই কারণেই এবার তৃণমূল সহ আরএসপি, সিপিএম ছেড়ে বিজেপি দলে যোগ দিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। মঙ্গলবার বাসন্তীর নফরগঞ্জ চৌমাথায় আয়োজিত একটি সভায় ভরতগড়, জ্যোতিষপুর, নফরগঞ্জ ও ঝড়খালী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে সাতশো সংখ্যালঘু কর্মী সমর্থক সহ প্রায় দু হাজার কর্মী সমর্থক যোগ দেন বিজেপিতে। এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ বিজেপিতে আসুন, মোদীজির কাজের শরিক হন সকলে। কারন মোদীজিই পারেন দেশের উন্নয়ন করতে। তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিতে ভরে গেছে। আর সেই কারণে ওদের জাহাজ ডুবতে বসেছে। কাটমানি খেয়েছে আর মানুষকে শোষণ করেছে ওরা”। সুনিপ বাবু বলেন, “ যারা অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে আসছেন তাদের স্বাগত। কিন্তু মানুষের সাথে মিশে কাজ করতে হবে। মানুষের সমস্যার কথা শুনতে হবে। তাদের বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে। এই মানসিকতা নিয়েই দল করতে হবে”। এদিনের সভায় মহিলা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন নফরগঞ্জ এলাকার কুমিরমারীতে একটি নতুন দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন বিজেপি নেতৃত্ব।Body:Intro তে কপি দিলাম Conclusion:একটু দেখে নেবেন
Last Updated : Jul 9, 2019, 10:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.