জয়নগর (দক্ষিণ 24 পরগনা), 13 নভেম্বর: শীতের মরশুম এলেই আকাশে রংবেরঙের ঘুড়ি উড়তে দেখা যায়। শীতর মিঠে রোদে দাঁড়িয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগীতায় নামতে হলে ভরসা চিনা মাঞ্জার সুতো ৷ কিন্তু এই চিনা মাঞ্জার সুতোই ডেকে আনছে বিপদ (Chinese Manja is Creating Problems) ৷ চিনা মাঞ্জার সুতোর জটে শহর থেকে গ্রামাঞ্চল সর্বত্রই যেন মরণফাঁদ ৷ জয়নগর থেকে সেই ছবিই ধরা পড়ল ইটিভি ভারতের ক্যামেরায় ৷
একটা সময় ঘুড়ি-প্রেমীরা বাজার থেকে সুতো কিনে দেশীয় পদ্ধতিতে কাঁচ গুড়ো করে বিভিন্ন ধরনের আঠা সংমিশ্রণ করে সুতোয় মাঞ্জা দিয়ে ঘুড়ি ওড়াতো এবং সেই সুতো দিয়েও প্রতিযোগিতা চলতো একে অপরের সঙ্গে। সেসব এখন অতীত ৷ এখন বাজার ছেয়ে গিয়েছে চিনা মাঞ্জায় ৷ এই চিনা মাঞ্জা সুতো বাজার দখল করায় ঘুড়ি প্রেমীরা এই সুতো নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে দ্রুততার সঙ্গে সফল হচ্ছেন। আর সে কারণেই দিন দিন বাড়ছে চীনা মাঞ্জা সুতোর চাহিদা। ঘুড়ি বিক্রেতাও মন থেকে চাইছেন না এই সুতো বিক্রি করতে। কিন্তু দিনের পর দিন এই সুতোর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা খানিক ইচ্ছের বিরুদ্ধে এই সুতো বিক্রি করছেন।
আরও পড়ুন: চিনা মাঞ্জায় একাধিক দুর্ঘটনা মা উড়ালপুলে, এবার বিশেষ নজরদারি কলকাতা পুলিশের
অপরদিকে চীনা মাঞ্জা সুতো দিয়ে প্রতিযোগিতামূলকভাবে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে ধারালো সুতোয় ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রায়ই দেখা যাচ্ছে চীনা মাঞ্জা সুতোয় ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে নাক, কান ও আঙুল কেটে জখম হচ্ছেন অনেকে । তারপরেও মানুষের মধ্যে সচেতনতার কোনও লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় ক্রমশই বিপদ বাড়ছে ৷ আকাশে ঘুড়ি উঠতে দেখলেই এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন ৷ কারণ ওই ঘুড়ি কেটে কোথায় গিয়ে পড়বে এবং ওই সুতো কার গায়ের উপর দিয়ে ঘষে যাবে তা কেউই জানে না। তাই সাধারণ মানুষের দাবি, বিপদ এড়াতে অবিলম্বে বন্ধ হোক এই চীনা মাঞ্জা সুতো। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন এই বিষয়টা নিয়ে কতটা গুরুত্ব দেয়।