কাকদ্বীপ , 17 জুন : আত্মহত্যা নাকি খুন ? আজ ভোরে ট্রলারের ভিতর থেকে মৎস্যজীবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে কার্যত তোলপাড়় কাকদ্বীপ ৷ অভিযোগের আঙুল উঠছে ট্রলারে থাকা অন্য মৎস্যজীবীদের দিকেই ৷ কিন্তু মৎস্যজীবীদের দাবি , তাঁরা কিছুই জানেন না এব্যাপারে ৷ সাতসকালে ট্রলারের মধ্যেই তাঁরা প্রথম ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁকে ৷
নামখানা নারায়ণপুরের বাসিন্দা পাঁচু মণ্ডল (25) ৷ 15 জুন সরকারিভাবে মাছ ধরতে যাওয়ার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পরই গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরতে যায় নামখানার 18 জন মৎস্যজীবী ৷ কিন্তু পাথরপ্রতিমার সীতারামপুরের কাছে গিয়ে মৎস্যজীবীরা লক্ষ্য করেন ট্রলার ফুটো হয়ে গলগল করে জল ঢুকছে ট্রলারে ৷ তৎক্ষণাৎ কাকদ্বীপ বন্দরের কাছে ময়না পাড়াতে ট্রলারটি নিয়ে এসে মেরামত করেন তাঁরা ৷
এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে ট্রলারের ভিতর থেকে পাঁচুর দেহ উদ্ধার হয় ৷ গতকাল রাত পর্যন্ত যে হাতে হাত লাগিয়ে ট্রলার মেরামতের কাজ করেছে , তাঁদের সঙ্গে গল্প করেছেন , আজ তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখে হকচকিয়ে যায় অন্যরা ৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় হারুউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায় ৷ পুলিশ মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে আসল কারণ ৷ এমনই জানিয়েছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : Sovan-Baisakhi : গোলপার্কের ফ্ল্যাটে ব্যাভিচার করেন শোভন, অভিযোগ শ্বশুর দুলালের
অন্যদিকে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয় ৷ খুনই করা হয়েছে তাঁকে ৷ পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবি করেন মৃতের কাকিমা ৷ বলেন, "আমরা গরিব বলে কি আমরা কোনও বিচার পাব না ? আমি দোষীদের শাস্তি চাই ৷ "