ETV Bharat / state

নাকা চেকিং-এ তোলা আদায় ? ভিডিয়ো করতে গিয়ে পুলিশের রোষে

নাকা চেকিং চলাকালীন তোলা আদায়ের অভিযোগ ভাঙড় থানার ASI-র বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী হাইওয়ের ভোজেরহাট এলাকায় ।

ঘটনাস্থানের ছবি
author img

By

Published : May 2, 2019, 11:25 PM IST

ভাঙড়, 2 মে : নাকা চেকিং চলাকালীন তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠল ভাঙড় থানার ASI-র বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী হাইওয়ের ভোজেরহাট এলাকায় । আজ দুপুরে সেখানে ভাঙড় থানার ASI নিরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার নাকা চেকিং করছিলেন । চেকিংয়ের সময় গাড়ির চালকের কাছ থেকে তোলা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে । তখন বাসের এক যাত্রী পুরো বিষয়টির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন । বিষয়টি পুলিশের চোখে পড়লে ওই যাত্রীর ফোনটি কেড়ে নেওয়া হয় ।

আজ দুপুরে ঘটকপুকুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে একটি সরকারি বাস আটকায় পুলিশ । চালকের কাছে বাসের কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয় । এর জেরে বাসটি সেখানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন । অলকেশ মণ্ডল নামে এক বাসযাত্রী পুলিশের কার্যকলাপের ভিডিয়ো ফোনে রেকর্ড করছিলেন। এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় ।

যে সিভিক ভলান্টিয়ার অলকেশের ফোনটি কেড়ে নেয় তাকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সে বিষয়টি অস্বীকার করে । তার দাবি, অলকেশ তাকে আক্রমণ করেছিল । আক্রমণের কথা অস্বীকার করেন অলকেশ সহ বাকি যাত্রীরা । তাঁদের দাবি, শুধুমাত্র ভিডিয়ো রেকর্ডিং করার জন্য অলকেশকে মারধরের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় । খবর পেয়ে এক সাংবাদিক সেখানে পৌঁছালে ওই ASI ও সিভিক ভলান্টিয়ার এলাকা ছাড়েন । এবিষয়ে, বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, "বাসটি একটি গাড়িকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাচ্ছিল । তাই বাসটিকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন ওই অফিসার । সেই সময় এক যাত্রী পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় । পরে জামিনে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয় । "

যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নাকা চেকিং-এর নামে পুলিশ ওই এলাকায় তোলাবাজি করছিল । সরকারি বাসটিকে আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয় । যাত্রীরা সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন সরকারি বাসের চালকের কাছ থেকে এভাবে কাগজপত্র দেখা যায় কি না ? তখনই রেগে যায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ।

ভাঙড়, 2 মে : নাকা চেকিং চলাকালীন তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠল ভাঙড় থানার ASI-র বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী হাইওয়ের ভোজেরহাট এলাকায় । আজ দুপুরে সেখানে ভাঙড় থানার ASI নিরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার নাকা চেকিং করছিলেন । চেকিংয়ের সময় গাড়ির চালকের কাছ থেকে তোলা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে । তখন বাসের এক যাত্রী পুরো বিষয়টির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন । বিষয়টি পুলিশের চোখে পড়লে ওই যাত্রীর ফোনটি কেড়ে নেওয়া হয় ।

আজ দুপুরে ঘটকপুকুর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে একটি সরকারি বাস আটকায় পুলিশ । চালকের কাছে বাসের কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয় । এর জেরে বাসটি সেখানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন । অলকেশ মণ্ডল নামে এক বাসযাত্রী পুলিশের কার্যকলাপের ভিডিয়ো ফোনে রেকর্ড করছিলেন। এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁর মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় ।

যে সিভিক ভলান্টিয়ার অলকেশের ফোনটি কেড়ে নেয় তাকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সে বিষয়টি অস্বীকার করে । তার দাবি, অলকেশ তাকে আক্রমণ করেছিল । আক্রমণের কথা অস্বীকার করেন অলকেশ সহ বাকি যাত্রীরা । তাঁদের দাবি, শুধুমাত্র ভিডিয়ো রেকর্ডিং করার জন্য অলকেশকে মারধরের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় । খবর পেয়ে এক সাংবাদিক সেখানে পৌঁছালে ওই ASI ও সিভিক ভলান্টিয়ার এলাকা ছাড়েন । এবিষয়ে, বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রশিদ মুনির খান বলেন, "বাসটি একটি গাড়িকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাচ্ছিল । তাই বাসটিকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন ওই অফিসার । সেই সময় এক যাত্রী পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় । পরে জামিনে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয় । "

যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নাকা চেকিং-এর নামে পুলিশ ওই এলাকায় তোলাবাজি করছিল । সরকারি বাসটিকে আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয় । যাত্রীরা সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন সরকারি বাসের চালকের কাছ থেকে এভাবে কাগজপত্র দেখা যায় কি না ? তখনই রেগে যায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ।

Intro:নাকা চেকিং এর নামে বাসন্তী হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে তোলাবাজির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। ভাঙড় থানার নিরঞ্জন দাস নামে এক পুলিশ আধিকারিক এর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী হাইওয়ের ভোজেরহাটের কাছে। এদিন ভাঙড় থানার পুলিশের এএসআই নিরঞ্জন দাস কয়েকজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে নাক চেকিং করছিল। কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকলে টাকা আদায় করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। Body:এদিন দুপুরে ঘটকপুকুরর থেকে কোলকাতা যাওয়ার পথে সরকারী যাত্রীবাহী একটি বাস আটকায় পুলিশ। তারপর দেখতে চাওয়া হয় গাড়ীর কাগজপত্র। তখন সব যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন। কর্মস্থানে যেতে দেরি হচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলেন সরকারী বাসকে কেন এই ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। পুলিশ যাত্রীদের কথায় কান না দিয়ে কাগজপত্র দেখতে চেয়ে অনড় থাকে। সেসময় অলকেশ মন্ডল নামে একযাত্রী পুলিশের কার্যকলাপ ভিডিও রেকর্ডিং করছিলেন। পুলিশ তাঁর মোবাইল টি কেড়ে নেয় এবং তাঁকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনায় বাসন্তী হাইওয়েতে সাময়িকের জন্য যানযটের সৃষ্টি হয়। সমস্যায় পড়েন অনেকে যাত্রীরা। অভিযুক্ত ওই সিভিক দাবী করেন অলকেশ আগে তাকে আক্রমণ করে। অলকেশ এবং স্থানীয়রা পুলিশের উপর আক্রমণণের কথা অস্বীকার করেছে। তাদের দাবী শুধুমাত্র ভিডিও রেকর্ডিং করার অপরাধে মারধরের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। সংবাদমাধ্যমের এক কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে যে সিভিক ভলেন্টিয়ার্স এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখি পালিয়ে যায় সে। অন্যদিকে সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে কার্যত পালিয়ে যায় ভাঙড় থানার পুলিশ। যদিও বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান জানান ওই বাসটি একটি গাড়িকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাচ্ছিল। সেই জন্য বাসটিকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছিলেন ওই অফিসার। সেই সময় অলকেশ পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছে বলে দাবি। সেই কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জামিনে ছেড়ে দেয়া হয়। Conclusion:প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি এদিন নাকা চেকিং এর নামে পুলিশ ওখানে তোলাবাজি করছিল। সরকারি এই বাসটি কে আটকে কাগজপত্র দেখতে চায়। তখন ওই দপ্তরের কর্মী অলকেশ ওই বাসে কাজে যাচ্ছিলেন। তিনি পুলিশ কে জিজ্ঞাসা করেন সরকারি বাসে এভাবে কাগজপত্র দেখা যায়? তখনই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার্স। নিজের ফোনে সেই সময় পুলিশের কার্যকলাপের ভিডিও করছিল অলকেশ। সিভিক ভলেন্টিয়ার্স তা দেখে তার কাছে এসে ফোন ছিনিয়ে নেয়। তারপর তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর তাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। পরে সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ ওই পুলিশ অফিসার পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। পুলিশের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.