ক্যানিং, 18 মার্চ: শ্বশুরবাড়িতে 'জামাই আদর', তবে একটু অন্যভাবে (Allegation of Beating son-in-law) ৷ হাত-পা বেঁধে জামাই কে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে । গুরুতর জখম জামাই মোফিজুল মোল্লা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । ঘটনার বিষয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং থানার অন্তর্গত দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মোফিজুল মোল্লার সাথে বছর চোদ্দ আগে বিয়ে হয়ে দাঁড়িয়া তেঁতুলবেড়িয়া গ্রামের এসমা’র । দম্পতির এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে । গত বৃহষ্পতিবার শ্বশুর বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মোফিজুল । সেই সময় রাতে তিনি তাঁর স্ত্রী-কে একা ঘুরতে দেখেন । কেন একা ঘুরছে জানতে চেয়ে কোনও উত্তর না-পেয়ে স্ত্রীকে চড় মারেন । অভিযোগ এরপর শাশুড়ি সাফাজান মোল্লা ও চার কাকা শ্বশুর ছমির,সিরাজ, জাকির, বাপ্পা মোল্লা’রা হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে মোফিজুলকে। পরে পাশের একটি খালে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনাটি নজরে পড়ে মোফিজুলের মামাতো বোন সানা মোল্লা’র । রাতের অন্ধকারে বাঁধন খুলে বাড়ির লোকজনদেরকে ঘটনার কথা জানায়। শুক্রবার ভোরে মোফিজুলকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায় ।
আরও পড়ুন : করোনার উৎস রাকুন ডগস, তথ্য গোপনের অভিযোগ! চিনকে ভর্ৎসনা হুর
মোফিজুলের দাবি, "শ্বশুর বাড়ি এলাকায় একটি অনুষ্ঠান ছিল । সেখানে গিয়েছিলাম । রাতে আমার স্ত্রী-কে একা ঘুরতে দেখে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, রাতে একা একা ঘুরছে কেন ? কোনও উত্তর না-পেয়ে একটা চাপড় মেরেছিলাম । এরপর কাকাশ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে আমার হাত-পা বেঁধে ইচ্ছামতো বেধড়ক মারধর করে। নগদ 10 হাজার টাকা ও বাইক কেড়ে নেয় । পরে রাতের অন্ধকারে খালে ধারে ফেলে দিয়ে যায় । আমার মামাতো বোন দেখতে পেয়ে আমাকে বাঁধন খুলে উদ্ধার করে । আমার বাড়িতে ফোন করে খবর দেয় । বাড়ির লোকজন আমাকে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে আসে । ঘটনার বিষয়ে ক্যানিং শুক্রবার রাতে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ।" অন্যদিকে ক্যানিং থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।যদিও ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।