কাশীপুর, ৯ ফেব্রুয়ারি : লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তি ও তাঁর মেয়ের। দুর্ঘটনাটি কাশীপুর থানার শ্যামনগরের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে কাশীপুর থানার পুলিশ। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করতে এলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ ভোররাতে হাড়োয়ার দিকের ইটভাটা থেকে মাটি খালি করে লরিটি লাউহাটির দিকে আসছিল। শ্যামনগরের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাড়িতে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থানে মৃত্যু হয় মইদুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তির। মৃত মইদুল ইসলাম ভোরবেলা বাড়ি সংলগ্ন গোয়ালঘর থেকে গোরু বাইরে বের করছিলেন। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিটি বাড়িতে ঢুকে গেলে ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় মইদুল ইসলামের। মৃত্যু হয় একটি গোরুরও। আহত হন তাঁর মেয়ে আসিফা খাতুন। আহত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ আসিফা খাতুন লরিটির নিচে পড়েছিল। পরে ক্রেনের মাধ্যমে আসিফাকে উদ্ধার করে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। হাসপাতালে মৃত্যু হয় আসিফার।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা হাড়োয়া রোড অবরোধ করে। রাস্তার উপর মৃতদেহ এনে অবরোধ শুরু করে তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে কাশীপুর থানার পুলিশ। আহত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ আসিফা খাতুন লরিটির নিচে পড়েছিল। পরে ক্রেনের মাধ্যমে আসিফাকে উদ্ধার করে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, অবৈধভাবে পুলিশ এই গাড়ি চলার অনুমতি দেয়। এই কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে চালক ও খালাসি পলাতক। চার ঘণ্টা পর স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ তুলে নেয় ও মইদুলের মৃতদেহ পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।