কোচবিহার, ২৫ ফেব্রুয়ারি : যুবতিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম প্রভাদিনি রায়(২২)। ঘটনাটি কোচবিহারের ময়নাগুড়ি এলাকার। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক।
বছর দু'য়েক আগে ময়নাগুড়ির বাপি রায়ের সঙ্গে মেখলিগঞ্জের প্রভার প্রেম করে বিয়ে হয়। প্রভার বাবারবাড়ির সদস্যদের এই বিয়েতে আপত্তি ছিল। এদিকে বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই যুবতির উপর শুরু হয় পণের জন্য চাপ। না দেওয়ায় শুরু হয় অত্যাচার। ২১ ফেব্রুয়ারি অত্যাচার বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যায়। অভিযোগ, ওই দিনই মারধর করে প্রভার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারি, হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার।
গতকাল মেখলিগঞ্জ থানায় যুবতির স্বামী সহ ছ'জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতের মা সাকালী রায় বলে, "জামাই ৫০ হাজার টাকা পণ চেয়েছিল। কিন্তু, আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় দিতে পারিনি। পণের জন্য মেয়েকে ওরা মেরে ফেলবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।"