কোচবিহার, 15 জানুয়ারি : দলের নেতারা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন বিধায়ক উদয়ন গুহকে । সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নয়ারহাটে যাবেন বলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বিধায়ক । সেই মতো আজ দিনভর নয়ারহাট-গোবড়াছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে গেলেন এলাকার দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক । জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জনসংযোগ করেন । যদিও বিধায়কের এই জনসংযোগকে কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূলের একাংশ ।
তৃণমূলের দিনহাটা-2 ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মীর হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে এক সময় ভালো সম্পর্ক ছিল । বর্তমানে অবশ্য দু'জনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে । যার প্রভাব পড়েছে নয়ারহাটের তৃণমূলের অন্দরে । সম্প্রতি দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দিনহাটা-2 ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচি পালন করছিলেন উদয়ন গুহ । কিন্তু নয়ারহাট-গোবড়াছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এসে সেই কর্মসূচি স্থগিত করে দেন । অভিযোগ, উদয়ন গুহর ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৃণমূল কর্মীদের বাধা দেন হুমায়ুন কবীরের স্ত্রী মমতাজ বেগম ও তাঁর অনুগামীরা । এই ঘটনার দিনকয়েকের মধ্যে হুমায়ুন কবীরের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল যুব নেতা মিলন সেন সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, "নয়ারহাট-গোবড়াছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও কর্মসূচি করতে হলে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যদের অনুমতি নিয়ে ঢুকতে হবে । না হলে তৃণমূল কর্মীরা বুঝে নেবে ।"
আরও পড়ুন : একটা চোখ উপড়ে নিলে একশোটা চোখ উপড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি উদয়নের
তাঁর এই হুমকি ভরা পোস্টের পরেই নয়ারহাট অভিযানের কথা ঘোষণা করেন উদয়ন গুহ । আজ নয়ারহাট পরিদর্শনের পর উদয়ন বাবু জানান, "চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এসেছি । বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি ।" যদিও বিধায়কের অভিযান নিয়ে মীর হুমায়ুন কবীরের স্ত্রী তথা গোবড়াছড়া-নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মমতাজ বেগম বলেন, "ওনাকে কেউ সমর্থন করছে না । তাই বাইরের লোকেদের নিয়ে এলাকায় ঢুকতে হচ্ছে ।"