কোচবিহার, 29 নভেম্বর : বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি তৃণমূল কর্মীকে ৷ অভিযোগের আঙুল BJP-র দিকে ৷ ঘটনাস্থান মাথাভাঙা 1 নম্বর ব্লকের নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খাগড়িবাড়ি গ্রাম ৷ গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীর নাম সুশীল বর্মণ । ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে 20 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় মাথাভাঙা থানায় ৷ তদন্তে নেমে এক BJP কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে গতরাত প্রায় 12টা নাগাদ ৷ আহত ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তর করা হয় কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রাতে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল রাজ্যের তিনটি উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নয়ারহাটে বিজয় মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস । বিজয় উল্লাসের পর সমস্ত তৃণমূল কর্মীরা বাড়িতে পৌঁছে যায় । তারপর রাত 12 টা নাগাদ BJP আশ্রিত বেশ কিছু দুষ্কৃতী নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খাগড়িবাড়ি গ্রামের তৃণমূলের নেতা সুশীল বর্মণকে গভীররাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গুলি করে । যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে স্থানীয় BJP নেতৃত্ব ।
এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মজিরুল হোসেন বলেন, "গতরাতে তৃণমূল নেতা সুশীল বর্মণকে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে এনে BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করে ও তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় । তাঁর পায়ে দু'টি গুলি লাগে । গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পুলিশ তাঁকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে । উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কোচবিহার মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায় । সেখানে উপযুক্ত উপরিকাঠামো না থাকায় শেষে শিলিগুড়িতে চিকিৎসকরা স্থানান্তরিত করে । বর্তমানে সুশীলবাবু শিলিগুড়ি একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ।"
কোচবিহার জেলা BJP সভানেত্রী মালতি রাভা এই প্রসঙ্গে বলেন, "উপনির্বাচনে জয়লাভের পরে মাথাভাঙা সহ গোটা কোচবিহার জেলায় সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে তৃণমূল । তার ফলে ওই ঝামেলার সৃষ্টি হয় । পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের BJP কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ও ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল ।"