কোচবিহার, 18 অগস্ট: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি নিয়ে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড় তখন কলেজে পিওনের চাকরি দেওয়ার নামে 7 লক্ষের বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল কোচবিহার জেলার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে (TMC leader alleged for job fraud in Cooch Behar)। টাকা দেওয়ার দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও চাকরি না মেলায় অবশেষে বৃহস্পতিবার পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বানেশ্বর ইচ্ছামুড়ি গ্রামের বাসিন্দা আশিস দত্ত ও তাঁর বাবা আশুতোষ দত্ত । এদিন তিনি কোচবিহারের জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জমা করেন ।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোচবিহার জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি পরিমল বর্মন । তাঁর পালটা বক্তব্য তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে । পরিকল্পনা করে চরিত্রহননের চেষ্টা চলছে । অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে পালটা মামলা করার হুশিয়ারি দিয়েছেন অভিযুক্ত ৷
জানা গিয়েছে, বানেশ্বর সারথি বালা মহাবিদ্যালয় জিওগ্রাফি ল্যাবরেটরি অ্যাটেন্ডেন্স পদে নিয়োগের জন্য ইচ্ছামারি গ্রামের বাসিন্দা আশিস দত্তের কাছ থেকে দফায় দফায় 7 লক্ষ 25 হাজার টাকা নেন কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য তথা আইএনটিটিইউসির কোচবিহার জেলা সভাপতি পরিমল বর্মন । কিন্তু টাকা দেওয়ার কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও চাকরি মেলেনি ওই যুবকের । ফলে বেশ কিছুদিন ধরেই ওই যুবক ও তাঁর বাবা ওই তৃণমূল নেতার কাছে টাকা ফেরতের দাবি করছেন এবং প্রতিবারই তাঁকে ঘোরানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ।
চাকরিপ্রার্থী আশিস দত্ত বলেন, "কয়েক দফায় 7 লক্ষ 25 হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে ৷ গত কয়েক বছরের চাকরি মেলেনি ৷ এখন টাকা ফেরত চাইতে গেলে ঘোরানো হচ্ছে । টাকা ফেরতের দাবিতে এদিন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের অফিসে অভিযোগ জানিয়েছি ।"
আরও পড়ুন: চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ, গ্রেফতার দম্পতি
পুরো বিষয়টি নিয়ে আক্রমণ করেছে বিজেপি । কোচবিহার জেলা সভাপতি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, "শুধু পরিমল বর্মনের নাম শোনা যাচ্ছে । তৃণমূলের এ ধরণের অনেক নেতা আছে যারা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ।"