ডোমজুড়, 12 জানুয়ারি: দড়ির কারখানায় ভয়াবহ আগুন ৷ ঘটনাটি ঘটে রবিবার হাওড়ার ডোমজুড়ের পাকুরিয়া মোড়ের কাছে । সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ওই কারখানাটিতে আগুন লাগে । মুহূর্তে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে কারখানাটি ।
আশেপাশে বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে ৷ হাওয়ার দাপটে সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয় ৷ এর জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী । কারখানার কর্মচারীরা প্রাথমিক পর্যায়ে নিজেরাই আগুনে জল ঢেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন । যদিও কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় । এরপরই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় ডোমজুড় থানা ও দমকল অফিসে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ । একে একে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন । তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরও তিনটি ইঞ্জিন আনা হয় ।
দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান । দমকল কর্মীদের সঙ্গে এলাকার সাধারণ মানুষও আগুন নেভানোর কাজে হাত দেন । প্রায় তিন ঘণ্টা পর দমকলের ছয়টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে । আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর কুলিংয়ের প্রক্রিয়া চলছে । আগুনে দড়ির কারখানাটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে । বড় অঙ্কের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে । যদিও প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের ঘটনা বলে মনে করছেন দমকল আধিকারিকরা । যদিও সঠিক কী কারণে আগুনের ঘটনা, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলেই দমকল সূত্রে খবর ।
স্থানীয় বাসিন্দা কালিপদ খাড়ার কথায়, "সকাল দশটা দশ নাগাদ আমি আগুন লাগার খবর পাই ৷ এরপর থানা ও দমকলে খবর দেওয়া হয় । আগুন লাগার সময় কারখানার ভিতরে কর্মীরা কাজ করছিল । এই ঘটনায় সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে । এই রাস্তা দিয়েই এলাকার মানুষেরা যাতায়াত করে । শেষে সকলে হাত লাগানোয় আগুন নেভানো সম্ভব হয় ।"
দমকল আধিকারিক সোমনাথ প্রামাণিক বলেন, "আমরা খবর পেয়ে বালি ও আলমপুর থেকে দুটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে আসি । আগুন বড় হওয়াতে আশেপাশের অন্যান্য স্থান থেকে আরও মোট 6টি গাড়ি আসে । আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে । এই ঘটনায় কারও হতাহতের খবর নেই । কীভাবে আগুন লাগল এখনই বলা সম্ভন নয় ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"