ETV Bharat / state

ছোট প্রোমোটারদেরও নিয়মের আওতায় আনতে চাইছে পুরনিগম, ঘোষণা ফিরহাদের - KMC BUILDING RULE

বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে আগেই রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের পর নির্মাণের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নয়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কলকাতা পুরনিগম ৷

KMC BUILDING RULE
কলকাতা কর্পোরেশনের নয়া নিয়ম (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 12, 2025, 4:00 PM IST

কলকাতা, 12 জানুয়ারি: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আগেই রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের পর বাড়ি, ফ্ল্য়াট বা যে কোনও ধরনের বাণিজ্যিক নির্মাণের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নয়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কলকাতা পুরনিগম ৷ কমপ্লিশন সার্টিফিকেট এবং ওকোপেনসি সার্টিফিকেট ছাড়া আর ফ্ল্যাট বিক্রি করা যাবে না। এই দুটি জমা না দিলে মিলবে না ব্যাঙ্ক ঋণও ৷

পুরনিগম এলাকায় প্রায়ই বেআইনি নির্মাণ তৈরির অভিযোগ ওঠে ৷ আরও শোনা যায়, কমপ্লিশন সার্টিফিকেট বা সিসি পাওয়ার আগেই ফ্ল্যাট বিক্রি-সহ একাধিক বেআইনি পদক্ষেপ করে মোটা টাকা পকেটে ঢুকিয়েছে নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা । সম্প্রতি, বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে একটি মামলার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট বেশ কিছু নির্দেশ জারি করেছে । এবার সেই নিয়ম বাস্তবায়নের পথে হাঁটল কলকাতা কর্পোরেশন ৷

মেয়র ফিরহাদ হাকিম (ইটিভি ভারত)

এতদিন রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি বা রেরার অধীনে থাকা প্রোমোটার বা নির্মাণ সংস্থাগুলি সিসি-ওসি ছাড়া কোনও ক্রেতাকে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করতে পারত না । এবার ছোট-বড় সমস্ত প্রোমোটারের ক্ষেত্রেই সেই নিয়ম জারি করেছে কলকাতা কর্পোরেশন । নয়া নিয়ম অনুযায়ী, সিসি না থাকলে সেই বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা কমার্সিয়াল নির্মাণে বিদ্যুৎ সংযোগ, নিকাশি ও পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে না ।

শুধু তাই নয়, নির্মাণ কাজের জন্য যে অস্থায়ী সংযোগ দেওয়া হবে সেগুলিও কেটে ফেলতে হবে । আবেদনের তিন দিনের মধ্যে পরিদর্শন করে কমপ্লিশন সার্টিফিকেট দিতে হবে । পরিদর্শন করার পর কোথাও আইন না মানার প্রমাণ পাওয়া গেলে, নিয়ম মাফিক 90 দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে হবে। সিসি না পেলে সেই ফ্ল্যাটের ঋণ মিলবে না ব্যাঙ্ক থেকেও । পাশাপাশি, ব্যবসার জন্য লাইসেন্সও দেওয়া হবে না ৷

এই প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ৷ সিসি ছাড়া এখন থেকে কলকাতায় কোনও বাড়িতে পানীয় জল বা নিকাশি কিছুই দেওয়া যাবে না । শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, 90 দিনের মধ্যে ফাইল কার্যকর করতে হবে । আমরা এখানে 15 দিন থেকে এক মাসের মধ্যে করে থাকি । বেআইনি নির্মাণে আমরা অনেকটা রাশ টেনেছি শহরে। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের নজরদারি করার জন্য এখন বিল্ডিং বিভাগ থেকে রোষ্টার করে দেওয়া হয়েছে । অ্যাপ-এর মাধ্যমে বেআইনি বিল্ডিংয়ের তথ্য জানানো হচ্ছে । সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশগুলি দিয়েছে, এবার বিল্ডিং আইনের মধ্যে এটা ইন কর্পোরেট করতে হবে । বিল্ডিং প্ল্যানের মধ্যেই শর্তসাপেক্ষে সিসি দেওয়া থাকবে । আন্ডার টেকিং দিতে হবে সিসির বিষয়ে । কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হবে ।"

এছাড়া ফিরহাদ হাকিম জানান, কলকাতায় এক ছটাক জমিও যেন সম্পত্তি মূল্যায়নের বাইরে না থাকে । রাজস্ব না এলেও মূল্যায়নের আওতায় আনতে হবে । সম্পত্তি করের আওতাভুক্ত নয়, এখনও এমন সম্পত্তি রয়েছে । বেহালা-যাদবপুরের দিকে সংযুক্ত এলাকায় এই ধরনের সম্পত্তির সংখ্যা বেশি রয়েছে । তবে এবার এই বিষয়ে নজর দেওয়া হবে কর্পোরেশনের তরফে ৷

পড়ুন: ব্যস্ত সময়ে বাড়তি 14টি মেট্রো, কিছুটা স্বস্তি নিত্যযাত্রীদের

কলকাতা, 12 জানুয়ারি: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আগেই রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশের পর বাড়ি, ফ্ল্য়াট বা যে কোনও ধরনের বাণিজ্যিক নির্মাণের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নয়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল কলকাতা পুরনিগম ৷ কমপ্লিশন সার্টিফিকেট এবং ওকোপেনসি সার্টিফিকেট ছাড়া আর ফ্ল্যাট বিক্রি করা যাবে না। এই দুটি জমা না দিলে মিলবে না ব্যাঙ্ক ঋণও ৷

পুরনিগম এলাকায় প্রায়ই বেআইনি নির্মাণ তৈরির অভিযোগ ওঠে ৷ আরও শোনা যায়, কমপ্লিশন সার্টিফিকেট বা সিসি পাওয়ার আগেই ফ্ল্যাট বিক্রি-সহ একাধিক বেআইনি পদক্ষেপ করে মোটা টাকা পকেটে ঢুকিয়েছে নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা । সম্প্রতি, বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে একটি মামলার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট বেশ কিছু নির্দেশ জারি করেছে । এবার সেই নিয়ম বাস্তবায়নের পথে হাঁটল কলকাতা কর্পোরেশন ৷

মেয়র ফিরহাদ হাকিম (ইটিভি ভারত)

এতদিন রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি বা রেরার অধীনে থাকা প্রোমোটার বা নির্মাণ সংস্থাগুলি সিসি-ওসি ছাড়া কোনও ক্রেতাকে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করতে পারত না । এবার ছোট-বড় সমস্ত প্রোমোটারের ক্ষেত্রেই সেই নিয়ম জারি করেছে কলকাতা কর্পোরেশন । নয়া নিয়ম অনুযায়ী, সিসি না থাকলে সেই বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা কমার্সিয়াল নির্মাণে বিদ্যুৎ সংযোগ, নিকাশি ও পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে না ।

শুধু তাই নয়, নির্মাণ কাজের জন্য যে অস্থায়ী সংযোগ দেওয়া হবে সেগুলিও কেটে ফেলতে হবে । আবেদনের তিন দিনের মধ্যে পরিদর্শন করে কমপ্লিশন সার্টিফিকেট দিতে হবে । পরিদর্শন করার পর কোথাও আইন না মানার প্রমাণ পাওয়া গেলে, নিয়ম মাফিক 90 দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে হবে। সিসি না পেলে সেই ফ্ল্যাটের ঋণ মিলবে না ব্যাঙ্ক থেকেও । পাশাপাশি, ব্যবসার জন্য লাইসেন্সও দেওয়া হবে না ৷

এই প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ৷ সিসি ছাড়া এখন থেকে কলকাতায় কোনও বাড়িতে পানীয় জল বা নিকাশি কিছুই দেওয়া যাবে না । শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, 90 দিনের মধ্যে ফাইল কার্যকর করতে হবে । আমরা এখানে 15 দিন থেকে এক মাসের মধ্যে করে থাকি । বেআইনি নির্মাণে আমরা অনেকটা রাশ টেনেছি শহরে। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের নজরদারি করার জন্য এখন বিল্ডিং বিভাগ থেকে রোষ্টার করে দেওয়া হয়েছে । অ্যাপ-এর মাধ্যমে বেআইনি বিল্ডিংয়ের তথ্য জানানো হচ্ছে । সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশগুলি দিয়েছে, এবার বিল্ডিং আইনের মধ্যে এটা ইন কর্পোরেট করতে হবে । বিল্ডিং প্ল্যানের মধ্যেই শর্তসাপেক্ষে সিসি দেওয়া থাকবে । আন্ডার টেকিং দিতে হবে সিসির বিষয়ে । কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হবে ।"

এছাড়া ফিরহাদ হাকিম জানান, কলকাতায় এক ছটাক জমিও যেন সম্পত্তি মূল্যায়নের বাইরে না থাকে । রাজস্ব না এলেও মূল্যায়নের আওতায় আনতে হবে । সম্পত্তি করের আওতাভুক্ত নয়, এখনও এমন সম্পত্তি রয়েছে । বেহালা-যাদবপুরের দিকে সংযুক্ত এলাকায় এই ধরনের সম্পত্তির সংখ্যা বেশি রয়েছে । তবে এবার এই বিষয়ে নজর দেওয়া হবে কর্পোরেশনের তরফে ৷

পড়ুন: ব্যস্ত সময়ে বাড়তি 14টি মেট্রো, কিছুটা স্বস্তি নিত্যযাত্রীদের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.