কোচবিহার, 10 এপ্রিল : "100 টি বুথের মধ্যে 40 টি বুথে প্যারা মিলিটারি ফোর্স আসবে। বাকি বুথে ঢুকে ছাপ্পা ভোট দিয়ে দেবেন। ভোট যেভাবেই হোক তৃণমূলে পড়তে হবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।" মিটিংয়ে কর্মীদের উদ্দেশ্যে নাকি এই নির্দেশ দিয়েছেন কোচবিহার-1 ব্লকের তৃণমূল সভাপতি খোকন মিঞা। এই সংক্রান্ত যে অডিয়ো ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে, তা নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে BJP। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খোকন মিঞা।
আজ সকালে দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিটিং করেন খোকন মিঞা। অডিয়ো বার্তায় শোনা যাচ্ছে কর্মীদের সরাসরি ছাপ্পা ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ এই নির্দেশ দিয়েছেন খোকন মিঞা। নির্দেশে শোনা যাচ্ছে "এই কাজটা কিন্তু 100 শতাংশ করতে হবে। অন্য কোনও দলকে একটাও ভোট দেওয়া যাবে না। যদি কেউ মনে করে কিছু ভোট হাতচিহ্নে দেব, কিছু ভোট BJP-কে দেব। আর কিছু ভোট তৃণমূলে দেব। এসব করলে কিন্তু ভোটের পর চিহ্নিতকরণ করা হবে। 100 টি বুথের মধ্যে 40 টি বুথে আসবে প্যারা মিলিটারি। প্রত্যেকটা দলের লোক বুঝে গেছে যে প্রত্যেকটা বুথে কেন প্যারা মিলিটারি নেই। আমার হোদলপুরে একটাও প্যারা মিলিটারি থাকবে না। বাকি জায়গায় আমার কন্ট্রোল থাকবে। অফিসার যারা আসবেন, তাঁরা কিন্তু আমাদের কর্মচারী। কোথায় কোথায় কী করতে হবে তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছি। ওই বুথগুলির জন্য আমরা লোকজন তৈরি করে রেখেছি। প্রিজ়াইডিং অফিসার যখন আসবেন, 5-6 জন তাঁকে সেটিং করবে। বুথে ঢুকে ছাপ্পা ভোট দিয়ে দেবেন। ভোট যেভাবেই হোক তৃণমূলে পড়তে হবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।"
খোকন মিঞা বলেন, "এটা একটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। BJP হেরে যাবে বলে মিথ্যা কথা বলছে। মানুষ এই মিথ্যা কথাকে মেনে নেবে না।" BJP-র কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা বলেন, "বিষয়টি শুনেছি। কমিশনে আমাদের যেতেই হবে। কোচবিহারে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট হতে পারে না, এটাই তার উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। আমরা প্রতিটি কেন্দ্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই। তৃণমূল পঞ্চায়েত নির্বাচন এভাবেই করেছে। এই নির্বাচনও ওই দিকেই যাচ্ছে।"
যে অডিয়ো বার্তাটি ETV ভারতের কাছে এসেছে তার সত্যতা যাচাই করা হয়নি।