কোচবিহার, 27 ফেব্রুয়ারি: কর্মবিরতির জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে কোচবিহারের চ্য়াংরাবান্ধা বাণিজ্য কেন্দ্রে (Strike at Changrabandha Business Centre) ৷ সোমবার সকাল 6টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন এখানকার 'ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়র্ডিং এজেন্ট' (Clearing and Forwarding Agent) বা 'সি অ্যান্ড এফ'রা ৷ এর ফলে ভারত, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে পণ্যের আমদানি ও রফতানি আপাতত স্তব্ধ ৷
'ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়র্ডিং এজেন্ট' বা 'সি অ্যান্ড এফ' কাদের বলা হয় ?
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পণ্য রফতানি ও আমদানির প্রক্রিয়া সচল রাখতে হলে শুল্ক বিভাগের একাধিক নিয়ম মানতে হয় ৷ সেই নিয়ম পালন করা হলে একমাত্র তবেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে পণ্য নিয়ে ঢোকার অনুমতি মেলে ৷ এই কাজেই সহযোগিতা করেন 'সি অ্যান্ড এফ'রা ৷ ফলে তাঁরা কর্মবিরতি ডাকা মানে বিরাট সমস্যা ৷
চ্য়াংরাবান্ধা বাণিজ্য কেন্দ্রে কর্মবিরতির পরিস্থিতি তৈরি হল কেন ?
এই ঘটনার সূত্রপাত হয় বেশ কিছুদিন আগে ৷ সেদিন ট্রাকমালিকদের নিয়ে এই বাণিজ্য কেন্দ্রেই বৈঠকে বসেন চ্যাংরাবান্ধা ট্রাকমালিক সমিতির সম্পাদক আবদুল সামাদ ৷ বৈঠকে সি অ্যান্ড এফদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে ৷ ট্রাকমালিকরা জানান, সমস্ত বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও এই সি অ্যান্ড এফরা প্রত্য়েক ট্রাক থেকে তোলা আদায় করেন ! এই অভিযোগ শুনেই তেতে ওঠেন সি অ্যান্ড এফরা ৷ তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে ৷ ট্রাকমালিকদের তোলাবাজি সংক্রান্ত এই অভিযোগের প্রতিবাদেই সোমবার থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সি অ্যান্ড এফ এজেন্টরা ৷
আরও পড়ুন: নজরে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য, মহদিপুর স্থলবন্দর সচল করতে বৈঠক
চ্যাংরাবান্ধা বাণিজ্য কেন্দ্রের সি অ্যান্ড এফ এজেন্টদের সংগঠনের সম্পাদক বিকাশ সাহা এই প্রসঙ্গে জানান, "কয়েকদিন আগে ট্রাকমালিক সমিতির বৈঠকে আমাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির মিথ্যা অভিযোগ করা হয় ৷ তারই প্রতিবাদে এই কর্মবিরতি শুরু করা হয়েছে ৷ এই সংক্রান্ত মন্তব্য ফিরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে ৷"
এই পরিস্থিতিতে বেজায় বিপাকে পড়েছেন দুই বাংলা এবং ভুটানের ব্যবসায়ীরা ৷ সমস্যা মেটাতে আসরে নেমেছে পুলিশ ৷ সি অ্যান্ড এফ এজেন্টদের সংগঠনের সদস্য ও সম্পাদক এবং ট্রাকমালিক সমিতির সদস্য ও সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন মেখলিগঞ্জের বিডিও অরুণকুমার সামন্ত ও মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকরা ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, সেই বৈঠক এখনও চলছে ৷