কোচবিহার, 24 জুন: নাবালিকাকে মাদক খাইয়ে তাঁর নগ্ন ও আপত্তিকর ছবি তুলে একাধিবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল যুবকের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি টাকা দেওয়ার জন্য চাপও দেওয়া হয়। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি যুবক। সেই আপত্তিকর ছবিগুলি পাত্রপক্ষকে পাঠিয়ে নির্যাতিতার বিয়ে ভেঙেও দেয় সে। এরপর নাবালিকা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের চেষ্টায় সে বেঁচে যায়। তারপরই ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
2021 সালের নভেম্বর মাসে নাবালিকার বাবা মেখলিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। 2022 সালের মে মাস থেকে বিচার শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় অভিযুক্তকে দোষীসাব্যস্ত করে আদালত। শুক্রবার সাজা ঘোষণা হয় ৷ নাবালিকার পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "শিশু পর্নোগ্রাফি আইন এবং 6 নম্বর পকসো ধারা-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। আজ 20 বছরের সাজা ঘোষণা করেন বিচারপতি হিরন্ময় সান্যাল ৷"
উল্লেখ্য, সাজাপ্রাপ্তের নাম বিজয় রায় (22)। বাড়ি মেখলিগঞ্জে। ওই গ্রামের এক নাবালিকার সঙ্গে তার পরিচয় হয় এক কোচিং সেন্টারে। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। একদিন নাবালিকার বাড়িতে কেউ না-থাকার সুযোগে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল ওই যুবক। অভিযোগ, নাবালিকাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপরেই বিজয় তার আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে। সেই ছবি দেখিয়ে বারবার নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগও ওঠে।
আরও পড়ুন: লজেন্সের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা দুই নাবালকের, বাধা পেয়ে খুন ছ'বছরের শিশুকে
নাবালিকা অপমানের হাত থেকে বাঁচতে কন্যাশ্রীর টাকা বিজয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল। নাবালিকার বয়স বিয়ের উপযুক্ত হলে সম্বন্ধ ঠিক হয় ৷ বিজয় তা জানতে পেরে তার আপত্তিকর ছবি হবু বরের কাছে পাঠিয়ে বিয়ে ভেঙে দেয়। তার জেরে নাবালিকা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু মায়ের তৎপরতায় রক্ষা পায় কিশোরী। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই বিষয়ে শুক্রবার কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা। তিনি জানান, অভিযুক্ত বিজয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ৷ এদিন তাকে 20 বছরের কারাদণ্ড এবং 1.3 লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷