ETV Bharat / state

কীভাবে মৃত্যু জেলবন্দী মৌলা শেখের ? মানবাধিকার কমিশনকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জেলবন্দী মৌলা শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আর এই বিষয়ে রাজ্যকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।

author img

By

Published : Apr 4, 2019, 9:46 AM IST

হাইকোর্ট

কলকাতা, 4 এপ্রিল: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন খতিয়ে দেখবে মৌলা শেখের মৃত্যুর কারণ। তার জন্য কমিশনকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশন যদি দেখে এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া দরকার তাহলে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে রাজ্যকেই। গতকাল এই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

বহরমপুরের রাধারহাট আধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা রুবেল শেখ। তাঁর আব্বা মৌলা শেখ। 2017র 17 অক্টোবর মৌলা শেখকে মারধর ও অস্ত্রশস্ত্র রাখার অপরাধে বহরমপুর থানাতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে বহরমপুর জেলে তিনি বন্দী ছিলেন। অসুস্থতার কারণে সেখান থেকে তাঁকে গত 4 নভেম্বর 2017-তে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। 9 নভেম্বর তিনি সেখানে মারা যান। কিন্ত বাড়ির লোক মৃত্যুর খবর জানতে পারেন পরদিন অর্থাৎ নভেম্বরের10 তারিখ। অভিযোগ, মৌলা শেখের অসুস্থতার ব্যাপারে বাড়ির লোককে কোনও খবরই দেওয়া হয়নি। মারা যাওয়ার পর মেডিকেল কলেজ থেকে ফোন করে রুবেল শেখকে জানানো হয় যে তাঁর আব্বা মারা গেছেন। তিনি মেডিকেল কলেজে গিয়ে দেখেন ময়নাতদন্তও করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে মারা গেলেন তাঁর বাবা তার উত্তর পাননি তিনি।

26 নভেম্বর 2018 বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন রুবেল শেখ। জেলবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন মৌলা শেখ, তার তদন্ত হোক। সঠিক তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি করেই মামলা দায়ের করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর আব্বাকে মারা হয়েছে। মামলাটি 8 মার্চ 2019এ বেঞ্চ পরিবর্তন হয়ে দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে আসে। তিনি রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে বলেন। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে পুরো বিষয় জানিয়ে এই মামলায় অংশ নিতে বলেন। এরপর গত 2 এপ্রিল 2019 মামলার শুনানি ছিল। সেখানে রাজ্যের তরফ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে যে সমস্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে সেগুলো মোটেই সন্তুষ্টিকর নয়। গতকাল আবারও শুনানি হয়।

মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সৌম্যজিৎ দাস মহাপাত্র ও রিমা দাস জানান, "জেলবন্দীর মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের ব্যাপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটা গাইডলাইন রয়েছে। সেখানে বলা আছে, ময়নাতদন্ত করবে কোনও ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি দেখার চেষ্টা করবেন কোনও গন্ডগোল আছে কি না। এখানে দেখা যাচ্ছে পুরো ব্যাপারটাই করেছে ACP (অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার অব পুলিশ)। কী কারণে মারা গেছে তাও লেখা নেই। বারবার নথিপত্র চাওয়ার পরও রাজ্য তা দিতে পারেনি। যেটুকু পাওয়া গেছে তাতে বিস্তর গন্ডগোল রয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটনার দু'বছর পর একজন জেলবন্দীর মৃত্যুতে যে ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্তই হয়নি সেটা ধরা পড়েছে শুনানিতে।" আইনজীবীদের কাছে এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি দেবাংশু বসাক নির্দেশ দেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আগামী দু'মাসের মধ্যে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। আর তাতে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যকে। আগামী জুন মাসে আবারশুনানি হবে এই মামলার।

কলকাতা, 4 এপ্রিল: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন খতিয়ে দেখবে মৌলা শেখের মৃত্যুর কারণ। তার জন্য কমিশনকে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশন যদি দেখে এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া দরকার তাহলে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে রাজ্যকেই। গতকাল এই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

বহরমপুরের রাধারহাট আধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা রুবেল শেখ। তাঁর আব্বা মৌলা শেখ। 2017র 17 অক্টোবর মৌলা শেখকে মারধর ও অস্ত্রশস্ত্র রাখার অপরাধে বহরমপুর থানাতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে বহরমপুর জেলে তিনি বন্দী ছিলেন। অসুস্থতার কারণে সেখান থেকে তাঁকে গত 4 নভেম্বর 2017-তে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। 9 নভেম্বর তিনি সেখানে মারা যান। কিন্ত বাড়ির লোক মৃত্যুর খবর জানতে পারেন পরদিন অর্থাৎ নভেম্বরের10 তারিখ। অভিযোগ, মৌলা শেখের অসুস্থতার ব্যাপারে বাড়ির লোককে কোনও খবরই দেওয়া হয়নি। মারা যাওয়ার পর মেডিকেল কলেজ থেকে ফোন করে রুবেল শেখকে জানানো হয় যে তাঁর আব্বা মারা গেছেন। তিনি মেডিকেল কলেজে গিয়ে দেখেন ময়নাতদন্তও করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে মারা গেলেন তাঁর বাবা তার উত্তর পাননি তিনি।

26 নভেম্বর 2018 বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন রুবেল শেখ। জেলবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন মৌলা শেখ, তার তদন্ত হোক। সঠিক তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি করেই মামলা দায়ের করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর আব্বাকে মারা হয়েছে। মামলাটি 8 মার্চ 2019এ বেঞ্চ পরিবর্তন হয়ে দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে আসে। তিনি রাজ্যকে রিপোর্ট পেশ করতে বলেন। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে পুরো বিষয় জানিয়ে এই মামলায় অংশ নিতে বলেন। এরপর গত 2 এপ্রিল 2019 মামলার শুনানি ছিল। সেখানে রাজ্যের তরফ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে যে সমস্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে সেগুলো মোটেই সন্তুষ্টিকর নয়। গতকাল আবারও শুনানি হয়।

মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সৌম্যজিৎ দাস মহাপাত্র ও রিমা দাস জানান, "জেলবন্দীর মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের ব্যাপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটা গাইডলাইন রয়েছে। সেখানে বলা আছে, ময়নাতদন্ত করবে কোনও ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি দেখার চেষ্টা করবেন কোনও গন্ডগোল আছে কি না। এখানে দেখা যাচ্ছে পুরো ব্যাপারটাই করেছে ACP (অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার অব পুলিশ)। কী কারণে মারা গেছে তাও লেখা নেই। বারবার নথিপত্র চাওয়ার পরও রাজ্য তা দিতে পারেনি। যেটুকু পাওয়া গেছে তাতে বিস্তর গন্ডগোল রয়েছে। শুধু তাই নয়, ঘটনার দু'বছর পর একজন জেলবন্দীর মৃত্যুতে যে ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্তই হয়নি সেটা ধরা পড়েছে শুনানিতে।" আইনজীবীদের কাছে এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি দেবাংশু বসাক নির্দেশ দেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আগামী দু'মাসের মধ্যে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। আর তাতে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যকে। আগামী জুন মাসে আবারশুনানি হবে এই মামলার।

Intro:নির্বাচনীআচরণ বিধি লঙ্ঘন করে বদলির নির্দেশ শিক্ষককে। Body:
মানস নস্কর---

নির্বাচন কমিশনের মডেল কোড অফ কন্ডাক্টকে অগ্রাহ্যকরে বদলির নির্দেশ , হাইকোর্টের দ্বারস্থ প্রাইমারি শিক্ষক

কলকাতা ১ এপ্রিল ঃ
নির্বাচন কমিশনের মডেল কোড অফ কন্ডাক্টকে অগ্রাহ্যকরে বদলির নির্দেশ দিয়েছে প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ। এই অভিযোগে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন এক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক।

পশ্চিম বর্ধমান বার্নপুরের বাসিন্দা অমিতাভ গরাই । পশ্চিম বর্ধমান হীরাপুর সার্কেল থেকে হটাৎ করে পুরুলিয়া জেলা প্রাইমারি স্কুলে বদলি করা হয়েছে তাকে। ২ বছর ধরে তিনি চাকরি করছেন।হটাৎ করে গত ৮/৩/১৯ তারিখে তাকে রিলিজ অর্ডার দেয় স্কুল ইনস্পেকটর। তিনি ১২/৩/১৯ তারিখে অর্ডারটা হাতে পান।এর বিরোধিতা করে অমিতাভ বাবু কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। কিন্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় গত ২৮/০৩/১৯ এ নির্দেশ দিয়ে জানান আগামী ৩/৪/১৯ তারিখের মধ্যে নতুন স্কুলে যোগদিতে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে এই মামলায় আগামী ৪ সপ্তাহে র মধ্যে একটা হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি । এবং তার ২ সপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীকে তার জবাব দিতে হবে।

কিন্ত মামলাকারীর আইনজীবী বিবেকানন্দ বাউরি জানালেন, "অমিতাভ গরাইকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে পোলিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার জন্য ইতিমধ্যেই ৩১/০৩/১৯ তারিখে একটি ট্রেনিং হয়েগেছে তার। আগামী ৭/৪/১৯ তারিখে আর একটা ট্রেনিং হওয়ার কথা।মার্চ মাসে নির্বাচন কমিশন যে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট প্রাকাশ করেছে। তার ১৯(৫) অনুজায়ী ভোটের কাজে নিয়োজিত কোন অফিসারকেই বোর্ড নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বদলি করতে পারে না।শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ইলেকশন কমিশনের রুলকে অমান্য করা হচ্ছে।"
আইনজীবী আরো জানান, "এখনো সিংগল বেঞ্চের নির্দেশের কপি হাতে পাইনি আমরা।কিন্ত কপি ছাড়াই ডিভিশন বেঞ্চে আপিল জানানো হয়েছে। এবং ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়ের গুরুত্ব অনুভব করে আগামী ৩ এপ্রিল মামলাটি শুনবে বলে গ্রহণ ও করেছে।বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তী ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হয়েছে মামলা।"Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.