ETV Bharat / state

DA মামলায় সরকারের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হাইকোর্টে, রায় দেবে SAT - SAT

৩১ অগাস্টে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল বিচারক হরিশ ট্যান্ডন ও ববি শেখ শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ।

কলকাতা হাইকোর্ট
author img

By

Published : Mar 7, 2019, 6:56 PM IST

কলকাতা, ৭ মার্চ : DA মামলায় রাজ্য সরকারের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আর SAT(স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল) মহার্ঘভাতার ভবিষ্যৎ ঠিক করবে। আজ এই নির্দেশ দেয় বিচারক হরিশ ট্যান্ডন ও ববি শেখ শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বুধবার (১৩ মার্চ) SAT-র রায়দানে কোনও বাধা রইল না।

DA রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনসঙ্গত অধিকার। গত বছরের ৩১ অগাস্ট এই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। DA সংক্রান্ত দুটি বিষয় দু'মাসের মধ্যে SAT-কে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমটি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র হার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমান হবে কি না। আর দ্বিতীয়টি, রাজ্যেরই কয়েকজন কর্মচারী রয়েছে যারা দিল্লির বঙ্গভবন ও চেন্নাইয়ের ইউথ হস্টেলে নিযুক্ত। তারা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারেই DA পান। রাজ্যে নিযুক্ত কর্মচারীরাও কি তাদের হারেই DA পাবেন কি না?

সেই মতো ১৫ নভেম্বর SAT-এ DA মামলার শুনানি শেষ হয়। তারপর ৬ ডিসেম্বর SAT-এ রাজ্য সরকার জানায়, হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে SAT জানায়, তাদের আপাতত কিছুই করার নেই। কারণ হাইকোর্টের আদেশনামা পাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। হাইকোর্ট যেহেতু রাজ‍্য সরকারের করা মামলাটি গ্রহণ করেছে, সেজন্য SAT-এর পক্ষে একই মামলায় রায় দান সম্ভব নয়।

undefined

হাইকোর্টের ৩১ অগাস্টের রায়ের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করা হয়। আজ সেই পিটিশন খারিজ করে দেয় বিচারক হরিশ ট্যান্ডন ও ববি শেখ শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। ৩১ অগাস্টের
রায় বহাল রাখে। তারপর কেন্দ্রীয় হারে DA পাওয়া নিয়ে রাজ্যের কয়েক লাখ সরকারি কর্মীরা আশায় বুক বাঁধছেন।

কলকাতা, ৭ মার্চ : DA মামলায় রাজ্য সরকারের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আর SAT(স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল) মহার্ঘভাতার ভবিষ্যৎ ঠিক করবে। আজ এই নির্দেশ দেয় বিচারক হরিশ ট্যান্ডন ও ববি শেখ শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বুধবার (১৩ মার্চ) SAT-র রায়দানে কোনও বাধা রইল না।

DA রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনসঙ্গত অধিকার। গত বছরের ৩১ অগাস্ট এই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। DA সংক্রান্ত দুটি বিষয় দু'মাসের মধ্যে SAT-কে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমটি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের DA-র হার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমান হবে কি না। আর দ্বিতীয়টি, রাজ্যেরই কয়েকজন কর্মচারী রয়েছে যারা দিল্লির বঙ্গভবন ও চেন্নাইয়ের ইউথ হস্টেলে নিযুক্ত। তারা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারেই DA পান। রাজ্যে নিযুক্ত কর্মচারীরাও কি তাদের হারেই DA পাবেন কি না?

সেই মতো ১৫ নভেম্বর SAT-এ DA মামলার শুনানি শেষ হয়। তারপর ৬ ডিসেম্বর SAT-এ রাজ্য সরকার জানায়, হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে SAT জানায়, তাদের আপাতত কিছুই করার নেই। কারণ হাইকোর্টের আদেশনামা পাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। হাইকোর্ট যেহেতু রাজ‍্য সরকারের করা মামলাটি গ্রহণ করেছে, সেজন্য SAT-এর পক্ষে একই মামলায় রায় দান সম্ভব নয়।

undefined

হাইকোর্টের ৩১ অগাস্টের রায়ের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করা হয়। আজ সেই পিটিশন খারিজ করে দেয় বিচারক হরিশ ট্যান্ডন ও ববি শেখ শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। ৩১ অগাস্টের
রায় বহাল রাখে। তারপর কেন্দ্রীয় হারে DA পাওয়া নিয়ে রাজ্যের কয়েক লাখ সরকারি কর্মীরা আশায় বুক বাঁধছেন।

Intro:মানস নস্কর

বিপ্লবীদের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল পাথুরিয়াঘাটার "বড় কালী "পূজা


কলকাতা 6 নভেম্বর:
উত্তর কলকাতার সবথেকে পুরনো অঞ্চল এই পাথুরিয়াঘাটা । এখানেই হয় কলকাতার সব থেকে বৃহৎ মূর্তির কালী পূজা। একই সঙ্গে এই পূজা অত্যন্ত প্রাচীন বলেও দাবি পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতির সদস্যদের। আঠারো শতকের শেষ তথা উনিশ শতকের শুরুতে এই পূজার শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে পূজা বন্ধ হয়ে যায় পরে হাজার 928 সালে বিপ্লবী বাঘা যতীনের হাত ধরে নতুন করে শুরু হয় এই পূজা- এমনটাই জানালেন ব্যায়াম সমিতি যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জীব পাইন।

আঠারো শতকের শেষের দিকে স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত যুবকরা অনুশীলন সমিতি ,পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। এদের মধ্যেই অন্যতম ছিলেন বাঘাযতীন। মূলত এই যুবকদের হাত ধরেই শুরু হয় পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতি তে শক্তির আরাধনা।

পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট মানুষ কুমার বসাক জানালেন," পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতি তে কালী পূজার শুরু হয়েছিল ইংরেজ আমলে। স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মীরাই এই পূজা শুরু করেছিলেন ।সেই ধারাবাহিকতায় ধরে রাখার চেষ্টা করছি আমরা।"

তিনি আরও জানালেন, এলাকার বহু মানুষই এখান থেকে চলে গেছে। কিন্তু কালী পূজার এই চার দিন তারা আবার এলাকায় ফিরে আসেন। কালী পূজার ঠিক পরের দিনই হয় অন্নকূট উৎসব ।প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার লোককে বসে খাওয়ানো হয় এই উৎসবে। মায়ের গায়ে যত গয়না দেখছেন ,সবই সাধারণ মানুষের দান ।লোকজন এখানে মানত করে, তাদের ইচ্ছে পূরণ হওয়ার পর এই সোনা দান করেছে।


Body:পাথুরিয়াঘাটা ব্যায়াম সমিতির সবথেকে বর্ষিয়ান সদস্য শ্রী অমর নাথ ভট্টাচার্য্য জানালেন, "ইংরেজ আমলে বিখ্যাত লাঠিয়াল অতুল কৃষ্ণ ঘোষ এবং বাঘাযতীন এর পরিচালনায় এই পূজার শুরু। ব্রিটিশের তাড়া খেয়ে বিপ্লবীরা এইসব সমিতিতে আশ্রয় নিতেন।
আগে এই মূর্তির উচ্চতা ছিল 28 ফুট। কিন্তু কলকাতা পুলিশের নির্দেশের কারণে এখন মূর্তির উচ্চতা কমিয়ে সাড়ে 22 ফুট করা হয়েছে। তবে এখনও কলকাতায় আর কোথাও এত বড় মূর্তি পূজা হয় না।

প্রতিমা নিরঞ্জন কে কেন্দ্র করে আমরা একটা বিশেষ রীতি পালন করি। নিরঞ্জনের দিন সমস্ত ছেলেরা সাদা ধুতি এবং মেয়েরা লাল পেড়ে শাড়ি পড়ে নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নেন। পাশাপাশি এখানে সিঁদুর খেলা ও হয় কিন্তু সেই সিঁদুর খেলায় ছেলেদের কোন অংশগ্রহণ থাকে না। আমাদের পূজা চলতে থাকে সাত দিন ধরে।"


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.