কলকাতা, 18 এপ্রিল : আজ দ্বিতীয় দফায় রাজ্যের তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ। জলপাইগুড়ির 1868, দার্জিলিঙের 1899 ও রায়গঞ্জের 1623টি বুথে 42 জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। রায়গঞ্জ এবং জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হলেও দার্জিলিং সাক্ষী থাকবে ব্যতিক্রমী ঘটনার। এবার দার্জিলিঙের প্রতি বুথে থাকছে দুটি করে EVM। শুধুমাত্র NOTA (none of the above)-র জন্যই একটি করে আলাদা EVM-র ব্যবস্থা রাখতে হচ্ছে কমিশনকে। আর তার ফলে দার্জিলিঙে জোগান দিতে হয়েছে অনেক বেশি EVM। যার ফলে নির্বাচনের খরচ বেড়েছে অনেকটাই।
এবার রায়গঞ্জ কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন 14 প্রার্থী। জলপাইগুড়িতে 12 জন। দার্জিলিঙের ক্ষেত্রে বৈধ মনোনয়ন জমা পড়েছে 16টি। তার মধ্যে 1 জন মহিলা। ওই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল, BJP, BSP, CPI(M), এবং জাতীয় কংগ্রেসের মতো স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির একজন করে প্রার্থী। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী সংখ্যা 6। 5 জন নির্দল প্রার্থী নেমেছেন ভোটের ময়দানে। ফলে সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে 16-য়। আধুনিক EVM-গুলিতে ব্যালট ইউনিটে 16 জন প্রার্থীর নাম থাকতে পারে। ফলে সব প্রার্থীর নাম নথিভুক্ত করতে শেষ হয়ে গেছে একটি EVM।
কিন্তু যেকোনও কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী পছন্দ নয়, এই অপশন রাখতেই হয়। EVM-র ব্যালট ইউনিটে জায়গা দিতে হয় NOTA-কে। যেহেতু প্রার্থীদের নামের জায়গাতেই একটি EVM-র ব্যালট ইউনিট শেষ হয়ে গেছে। তাই একটা অতিরিক্ত EVM রাখা ছাড়া উপায় ছিল না কমিশনের কাছে। সেই সূত্রেই দার্জিলিঙের প্রতি বুথে রাখতে হচ্ছে অতিরিক্ত EVM।
কমিশন সূত্রে খবর, এবার রায়গঞ্জে ব্যবহার করা হচ্ছে 2129টি EVM। জলপাইগুড়িতে 2495টি। আর দার্জিলিঙে ব্যবহার করা হচ্ছে 4597টি EVM।