বোলপুর, 11 মার্চ : বিধানসভা ভোটের তারিখ যত এগিয়ে আসছে, জনসংযোগের নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করছে বিজেপি ৷ এবার, বোলপুরে গত লোকসভা নির্বাচনে শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এমন সব রাজনৈতিক কর্মীদের বাড়ি গিয়ে কথা বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রতিনিধিরা ৷ তালিকাও প্রস্তুত করলেন ৷ আসন্ন নির্বাচনে এই তালিকাভুক্তদেরই হাতিয়ার হিসাবে কাজে লাগানো হবে বলে গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে ৷
বিজেপির আইটি সেলের কর্মীরা ইতিমধ্যেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গড় বোলপুরে এই কাজ শুরু করে দিয়েছ। পুরো বীরভূম জেলা জুড়ে এই তালিকা প্রস্তুত করা হবে। প্রচারের হাতিয়ার ছাড়াও এই তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছেও দেওয়া হবে বলে দাবি বিজেপির ।
যে কোনও নির্বাচননেই সংবাদ শিরোনামে থাকে বীরভূম জেলা । রাজনৈতিক হানাহানি, সংঘর্ষ বীরভূম জেলার রাজনীতির অঙ্গ হিসেবে পরিচিত হয়ে গিয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য আক্রান্ত কর্মীদের কাজে লাগাতে চলেছে বিজেপি । গত লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মী শাসক দল তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রতিনিধিরা। যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের নাম, কিভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন, কাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রভৃতি তথ্যমূলক তালিকা তৈরি করছে বিজেপির আইটি সেল।
আরও পড়ুন : আভাস ছিল ! পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ তুলে কমিশনে তৃণমূল
বোলপুর পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ড । এই ওয়ার্ডের ভোটার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাই এই ওয়ার্ড থেকেই আক্রান্তদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই আক্রান্ত রাজনৈতিক কর্মীদের প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাবে বিজেপি। শুধু তাই নয়, বীরভূম জেলা কতটা রাজনৈতিক হিংসাপ্রবণ তারও একটা মাপকাঠি নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বিজেপির তরফে। এমনটাই জানা গিয়েছে।
বিজেপির আইটি সেলের কর্মী মিতা গড়াই বলেন, "দলের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রান্তদের তালিকা প্রস্তুত করছি।" আক্রান্তদের মধ্যে সুকেশ চক্রবর্তী, ধীরেন ঘোষরা বলেন, "গত লোকসভা নির্বাচনে আমাদের ওয়ার্ডে বিজেপির কোন এজেন্ট বসতে পারেনি। আমরা বিজেপি সমর্থক ছিলাম বলে আমাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। সেগুলোই এসে আমাদের জিজ্ঞাসা করল আজ বিজেপির লোকজন।"