বোলপুর, 7 এপ্রিল : রাজ্য়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি ঠিক তখনই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করার অভিযোগ উঠল রেলের বিরুদ্ধে৷ আর তার প্রতিবাদে বোলপুর স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ৷
"শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস" ট্রেনের নাম পরিবর্তন হয়েছে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমস্ত ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে বোলপুর স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। পরে বোলপুর স্টেশন ম্যানেজারকে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তাঁদের অভিযোগ, শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসের নাম পরিবর্তন করে "বোলপুর-হাওড়া স্পেশাল" নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া, ট্রেন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি।
যদিও, এই প্রসঙ্গে বোলপুর স্টেশন ম্যানেজার গৌরেন্দু মিত্র বলেন, "ট্রেনের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ওনাদের ডেপুটেশন আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব।"
আরও পড়ুন-দেশে সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ, আক্রান্ত 1 লাখ 15 হাজারের বেশি
লকডাউনের সময় একাধিক ট্রেনের সময় ও নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। বোলপুর থেকে হাওড়া গামী শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ট্রেনটি লকডাউনের সময় থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। পরে ওই একই সময়ে, একই লাইনে "বোলপুর হাওড়া স্পেশাল" নামে ট্রেন চালু হয়। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।
কয়েকদিন আগেও একই অভিযোগ উঠেছিল ৷ অভিযোগকারীদের বক্তব্য়, ট্রেনের কামরার ভিতর থেকে মুছে ফেলা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একাধিক ছবি ৷ সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, উপযুক্ত ব্য়বস্থা নেওয়া হবে ৷
এবিষয়ে তৃণমূল নেতা নরেশ চন্দ্র বাউড়ি বলেন, "বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে মুছে দিতে চাইছে। অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে আমরা এদিন ডেপুটেশন দিলাম।"