বোলপুর, 14 জানুয়ারি: কোপাই নদী বাঁচাতে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন নদী বিশেষজ্ঞ থেকে বিশ্বভারতীর অধ্যাপক ও কর্মীরা ৷ রবিবার শান্তিনিকেতন খোয়াই সাহিত্য-সংস্কৃতি সমিতির পক্ষ থেকে নদীর তীরে হাতে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদে নামেন তাঁরা ৷ প্রসঙ্গত, ঐতিহ্যবাহী কোপাই নদীবক্ষে কংক্রিটের পিলার বসিয়ে নির্মাণ শুরু চলছে। বেদখল হচ্ছে নদী, আর তাতে নির্বিকার প্রশাসন। কোপাই বাঁচাতে সই সংগ্রহও শুরু হয়েছে।
সদ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে শান্তিনিকেতন। আর সেই শান্তিনিকেতনে বেদখল হয়ে যাচ্ছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখনীতে স্থান পাওয়া 'আমাদের ছোট নদী' কোপাই ৷ শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়ার কাছে নদীবক্ষে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে কংক্রিটের নির্মাণ ৷ যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। অথচ, এই নিয়ে নির্বিকার প্রশাসন। এদিন, কোপাই নদী বাঁচাতে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন নদী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি কোপাই নদীর উৎস আবিষ্কার করেছিলেন ৷
এমনকী, তিনি তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কোপাই নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত পায়ে হেঁটে গবেষণাও করেছিলেন ৷ যা নিয়ে একাধিক বই রয়েছে তাঁর ৷ তিনি এদিন বলেন, "কোপাই নদী বেদখল হচ্ছে দেখে খুব আক্ষেপ হচ্ছে ৷ নদীবক্ষে নির্মাণ শুরু হয়েছে। এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত৷ তাই আমরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছি ৷ আরও মানুষ যাতে এগিয়ে আসে কোপাই বাঁচাতে সেই আহ্বান করছি ৷" এছাড়াও, এদিন হাতে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হল বিশ্বভারতীর অধ্যাপক থেকে শুরু করে কর্মীরাও ৷ শান্তিনিকেতন খোয়াই সাহিত্য-সংস্কৃতি সমিতির পক্ষ থেকে এদিন নদীর তীরে বসেই প্রতিবাদ করেন তাঁরা ৷
অধ্যাপক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, "কোপাই বাঁচাতেই হবে ৷ এই নদীর ঐতিহ্য অনেক ৷ নদীটি মানুষ, পশু-পাখি সকলের কাজে লাগে ৷ এভাবে পরিবেশ ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না ৷ আমরা সই সংগ্রহ করছি। মুখ্যমন্ত্রী-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তা ও ব্যক্তিদের জানাব, যাতে তারা পদক্ষেপ নেন। কোপাই শান্তিনিকেতনের অন্য আবেগ।"
আরও পড়ুন: