মিরাটি (কীর্ণাহার), 11 অক্টোবর : 126 বছরে পা দিল বীরভূমের কীর্ণাহারের মিরাটি গ্রামের মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো। গত বছর পুজোর আগে অগস্টে প্রয়াত হন ভারতের 13তম রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় । গ্রামের মানুষের কাছে তিনি 'পল্টুদা' নামে পরিচিত ছিলেন । প্রিয় পল্টুদা আর নেই ৷ তাই মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় যেন কিছুটা ছন্দ পতন হয়েছে ।
মহাষষ্ঠীর দিন মুখোপাধ্যায় বাড়িতে গিয়ে দেখা গেলে প্রায় খাঁ খাঁ করছে নাটমন্দির । নেই আগের মতো মানুষের ভিড় । তবে প্রথা মেনে এবছরও পুজো হবে মুখোপাধ্যায় বাড়িতে, এমনই জানিয়েছেন প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় । মুখোপাধ্যায় পরিবারের প্রাণপুরুষ তারকনাথ মুখোপাধ্যায় 1896 সালে বীরভূমের কীর্ণাহারের মিরাটি গ্রামে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের দাদু । পরবর্তীকালে মুখোপাধ্যায় বাড়ির এই পুজো খ্যাতি লাভ করে রাষ্ট্রপতি বাড়ির পুজো হিসেবে ।
আরও পড়ুন : Diamond Harbour Netaji Sangha : রজত জয়ন্তীতে ডায়মণ্ড হারবারের নেতাজী সংঘের চমক 'ত্রিগুণাত্নিকা'
গত বছর 31 অগস্ট প্রয়াত হন ভারতের 13 তম রাষ্ট্রপতি তথা ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায় । সারা বছর বাইরে থাকলেও পুজোর সময় তিনি গ্রামের বাড়ির এই পুজোয় অংশ নিতেন । ঘট ভরা থেকে শুরু করে নিজেই করতেন চণ্ডীপাঠ। তাঁর কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ শুনতে মিরাটি গ্রাম-সহ আশপাশের গ্রাম থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় করতেন এই পুজোয় । যেন সাজ সাজ রব । গ্রামের মানুষের কাছে প্রণববাবু পরিচিত ছিলেন 'পল্টু দা' হিসেবে । পুজোর কয়েকটা দিন মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোতেই মেতে থাকত পুরো গ্রাম ।
আজ প্রিয় পল্টুদা না থাকায় যেন ছন্দ পতন হয়েছে এই পুজোয় । আগের মতো দিনভর মানুষজনের তেমন আনাগোনা নেই । তবে প্রথা মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ৷ আক্ষেপের সঙ্গে তিনি বলেন, "বাবা না থাকায় এই পুজোর জৌলুস হারিয়েছে । দেখছেন তো আগের মতো আর এত লোকজন নেই। বাবা যখন আসতেন পুলিশ, আমলা থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীরা সহ প্রায় 1000 জন থাকত । এছাড়াও, বহু মানুষ দেখা করতে আসতেন । আজ সেসব নেই । তবে প্রথা অনুযায়ী এই পুজো আমি চালিয়ে যাব।"