কলকাতা, 7 জানুয়ারি: সোমবার মানিক ভট্টাচার্য ৷ আর মঙ্গলবার কুন্তল ঘোষ ৷ ফের বিচার ভবনের বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ৷ কুন্তলকে এদিন ধর্মতলায় যেতে বললেন বিচারক ৷
সোমবারই বিচার ভবনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়েছিল । মঙ্গলবার ফের বিচার ভবনে নিয়োগ মামলায় চার্জগঠনের প্রক্রিয়ার শুনানি শুরু হয় । সেখানেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের উদ্দেশ্যে বিচারক বলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও অয়ন শীলদের ভূমিকা আছে এই মামলায় । আপনারাও তাঁদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । সকলেই বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেছেন । কেউ কেউ অপরাধ থেকে সম্পদ অর্জন করেছেন । তারপর সেই টাকা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন ।"
এ দিন আদালতে দ্বিতীয় দফায় চার্জগঠনের সময় নিজেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে দাবি করেন মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ । তিনি আদালতে বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে কথা বলেছি বলেই আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে । প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্যই এটা করা হচ্ছে । আমি নির্দোষ ।" কুন্তলের মুখে এই কথা শুনেই বিচার ভাবনের বিচারক ভর্ৎসনা করে বলেন, "কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে ধর্মতলায় গিয়ে বলুন, এখানে নয় ।" কুন্তল ঘোষের সুরে কার্যত সুর মেলান অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং তাপস মণ্ডলও ৷ তাঁরাও নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন এ দিন আদালতে ।
উল্লেখ্য, সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু, অয়ন শীল, সন্ত গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজনের চার্জগঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় । কুন্তল ঘোষের মতো গতকালকে প্রায় একইভাবে মানিক ভট্টাচার্যকে ভরা আদালতে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারক । যখন মানিক ভট্টাচার্য আদালতে বলতে শুরু করেন, তিনি নির্দোষ তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে । তখন বিচারককে তাঁর বলতে শোনা যায়, "চুপ করে বসুন । না হলে আদালত থেকে বের করে দেব আপনাকে ৷"