ETV Bharat / state

Durga Puja : দু'বছর ধরে ভাটা, বিদেশি বরাত মিলছে না সুরুলের শোলা শিল্পীদের - covid restrictions push traditional decorative craftsmen of Surul to the brink

আগে বিদেশ থেকেও আসত দুর্গা প্রতিমার বরাত ৷ শুধু পুজোর মরশুমের উপার্জন দিয়েই চলে যেত সারা বছর ৷ প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে আর তা হচ্ছে না ৷ অর্থাভাবে পেশা বদল করতে হচ্ছে অনেককেই ৷ ছবিটা বীরভূম জেলার বোলপুরের সুরুলের, যে গ্রামের শোলা শিল্পকর্মের (Sholapith craftwork) বেশ নাম-ডাক আছে ৷

শোলা শিল্পে ভাটা, দু'বছর ধরে মিলছে না বিদেশি বরাত
শোলা শিল্পে ভাটা, দু'বছর ধরে মিলছে না বিদেশি বরাত
author img

By

Published : Sep 22, 2021, 5:46 PM IST

বোলপুর, 22 সেপ্টেম্বর : দু'বছর ধরে ভাটা পড়েছে শোলা শিল্পে (Sholapith craftwork) । মিলছে না বিদেশের বরাত । প্রতিবছর বোলপুরের সুরুল গ্রাম থেকে শোলার দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তো বটেই, এমনকি বিদেশেও । করোনা আবহের জেরে দু'বছর ধরে স্থানীয় পুজোর বরাতই সেভাবে মিলছে না । এক কথায় ধুঁকছে শোলা শিল্প । শিল্প সত্ত্বা বাঁচিয়ে রাখাই বর্তমানে দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

শোলার বিভিন্ন কারুকার্য, ডাকের সাজ, শোলার প্রতিমা, হস্তশিল্প, ঘর সাজানোর সামগ্রী, ভাস্কর্য, শোলার নকশা প্রভৃতি তৈরির জন্য বিখ্যাত হল বোলপুরের সুরুল গ্রাম । এই গ্রামে বেশ কয়েক ঘর মালাকার পরিবার রয়েছেন । তাঁদের নিখুঁত শোলা শিল্পকর্মের বেশ নাম-ডাক ৷ এই গ্রাম থেকে দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিয়েছে ওমান, আরব, ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন, নরওয়ে মতো দেশেও । এমনকি, এখান থেকে শিল্পীরাও বিদেশে গিয়ে শোলার দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন । কিন্তু দু'বছর ধরে এইসব কিছুই যেন অতীত ।

স্থানীয় পুজোর বরাতই সেভাবে মিলছে না । বিদেশি বরাত তো দূরের কথা । বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব শারদোৎসব । এই সময়টা শোলা শিল্পীদের রুজি-রুটির অন্যতম মরশুম । আগে এই সময়টায় যা আয় হত, তা দিয়েই একপ্রকার সারা বছর কেটে যেত ৷ কিন্তু বর্তমানে কোনও রকমে শিল্প সত্ত্বাটুকু বাঁচিয়ে রাখাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে । বহু শিল্পী পেশা ছেড়ে দিয়েছেন আয় না হওয়ার হতাশায় । অন্যান্য বছর মে মাসের মধ্যেই দেশ-বিদেশের কাজের বরাত মিলত । এখন আর তা হচ্ছে না ৷ শিল্পীরা জানাচ্ছেন, আগ্রহ হারাচ্ছে অনেকেই । কারণ মজুরি দেওয়া সম্ভব নয় । কার্যত মন্দা দেখা দিয়েছে এই পেশায় ৷ তবুও পুজোর আগে টুকিটাকি কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা ।

প্রবীণ শোলা শিল্পী কমল মালাকার বলেন, "দু বছর থেকে সেভাবে কাজ হচ্ছে না । আগে অনেকের শিখতে আসত । এখন তারা অন্য পেশা বেছে নিয়েছে । আগে বিদেশে গিয়েও কাজ করেছি । প্রতিবছর আমার দুর্গা প্রতিমা বিদেশে যেত । এখন সবই বন্ধ । শোলা শিল্পে মন্দা দেখা দিয়েছে । তবে আশা রাখছি, ভবিষ্যতে আবার শোলা শিল্প উজ্জীবিত হয়ে উঠবে ।"

শোলা শিল্পে ভাটা, দু'বছর ধরে মিলছে না বিদেশি বরাত

এক শিক্ষানবিশ শোলা শিল্পী চৈতালি বাগদি বলেন, "আগের মতো আর কাজ হচ্ছে না । আগে যেভাবে দুর্গা প্রতিমা থেকে শুরু করে সবকিছু তৈরি হত, এখন সে সব বন্ধ ।"

আরও পড়ুন : Burdwan Kumartoli: সামনেই দুর্গাপুজো, অন্ধকারেই দিন কাটছে বর্ধমানের মৃৎশিল্পীদের

বোলপুর, 22 সেপ্টেম্বর : দু'বছর ধরে ভাটা পড়েছে শোলা শিল্পে (Sholapith craftwork) । মিলছে না বিদেশের বরাত । প্রতিবছর বোলপুরের সুরুল গ্রাম থেকে শোলার দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তো বটেই, এমনকি বিদেশেও । করোনা আবহের জেরে দু'বছর ধরে স্থানীয় পুজোর বরাতই সেভাবে মিলছে না । এক কথায় ধুঁকছে শোলা শিল্প । শিল্প সত্ত্বা বাঁচিয়ে রাখাই বর্তমানে দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷

শোলার বিভিন্ন কারুকার্য, ডাকের সাজ, শোলার প্রতিমা, হস্তশিল্প, ঘর সাজানোর সামগ্রী, ভাস্কর্য, শোলার নকশা প্রভৃতি তৈরির জন্য বিখ্যাত হল বোলপুরের সুরুল গ্রাম । এই গ্রামে বেশ কয়েক ঘর মালাকার পরিবার রয়েছেন । তাঁদের নিখুঁত শোলা শিল্পকর্মের বেশ নাম-ডাক ৷ এই গ্রাম থেকে দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিয়েছে ওমান, আরব, ফ্রান্স, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন, নরওয়ে মতো দেশেও । এমনকি, এখান থেকে শিল্পীরাও বিদেশে গিয়ে শোলার দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন । কিন্তু দু'বছর ধরে এইসব কিছুই যেন অতীত ।

স্থানীয় পুজোর বরাতই সেভাবে মিলছে না । বিদেশি বরাত তো দূরের কথা । বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব শারদোৎসব । এই সময়টা শোলা শিল্পীদের রুজি-রুটির অন্যতম মরশুম । আগে এই সময়টায় যা আয় হত, তা দিয়েই একপ্রকার সারা বছর কেটে যেত ৷ কিন্তু বর্তমানে কোনও রকমে শিল্প সত্ত্বাটুকু বাঁচিয়ে রাখাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে । বহু শিল্পী পেশা ছেড়ে দিয়েছেন আয় না হওয়ার হতাশায় । অন্যান্য বছর মে মাসের মধ্যেই দেশ-বিদেশের কাজের বরাত মিলত । এখন আর তা হচ্ছে না ৷ শিল্পীরা জানাচ্ছেন, আগ্রহ হারাচ্ছে অনেকেই । কারণ মজুরি দেওয়া সম্ভব নয় । কার্যত মন্দা দেখা দিয়েছে এই পেশায় ৷ তবুও পুজোর আগে টুকিটাকি কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা ।

প্রবীণ শোলা শিল্পী কমল মালাকার বলেন, "দু বছর থেকে সেভাবে কাজ হচ্ছে না । আগে অনেকের শিখতে আসত । এখন তারা অন্য পেশা বেছে নিয়েছে । আগে বিদেশে গিয়েও কাজ করেছি । প্রতিবছর আমার দুর্গা প্রতিমা বিদেশে যেত । এখন সবই বন্ধ । শোলা শিল্পে মন্দা দেখা দিয়েছে । তবে আশা রাখছি, ভবিষ্যতে আবার শোলা শিল্প উজ্জীবিত হয়ে উঠবে ।"

শোলা শিল্পে ভাটা, দু'বছর ধরে মিলছে না বিদেশি বরাত

এক শিক্ষানবিশ শোলা শিল্পী চৈতালি বাগদি বলেন, "আগের মতো আর কাজ হচ্ছে না । আগে যেভাবে দুর্গা প্রতিমা থেকে শুরু করে সবকিছু তৈরি হত, এখন সে সব বন্ধ ।"

আরও পড়ুন : Burdwan Kumartoli: সামনেই দুর্গাপুজো, অন্ধকারেই দিন কাটছে বর্ধমানের মৃৎশিল্পীদের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.