বীরভূম, 27 মে: বিদায়ি চেয়ারম্যানদের প্রশাসক হিসাবে বসানো নিয়ে প্রশ্ন তুলল বীরভূম জেলা BJP৷ যখন জেলার 5 টি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের বোর্ডের মেয়াদ শেষ। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো প্রশাসক বসিয়ে কাজ চলছে৷ তখন বিদায়ি চেয়ারম্যানদের প্রশাসক হিসাবে বসানো নিয়ম বিরুদ্ধ বলে অভিযোগ তুললেন BJP-র জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল।
কোরোনার জেরে দেশজুড়ে চলছে দীর্ঘ লকডাউন৷ লকডাউনে স্থগিত হয়েছে পৌরসভা নির্বাচন। বীরভূম জেলার বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর পৌরসভাতেও নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল৷ প্রায় দুবছর ধরে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চলছে দুবরাজপুর পৌরসভায়৷ বাকি 4 টি পৌরসভার মেয়াদ সদ্য শেষ হয়েছে৷ এই অবস্থায় নবান্নের নির্দেশ মতো বোলপুর পৌরসভায় বিদায়ী চেয়ারম্যান সুশান্ত ভকত, সিউড়ি পৌরসভার উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, রামপুরহাট পৌরসভার অশ্বিনী তেওয়ারি, সাঁইথিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্তকেই প্রশাসক হিসাবে বসানো হয়েছে৷ এবার বিদায়ি চেয়ারম্যানদের এভাবে প্রশাসক হিসাবে বসানো নিয়ম বহির্ভূত বলে অভিযোগ করল BJP-র৷ BJP-র দাবি, নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসক হিসাবে সাধারণত মহকুমা শাসক, পৌরসভার সরকারি আধিকারিক প্রমুখ দায়িত্ব পেতে পারেন। বিদায়ি পৌরপ্রধানরা কখনই প্রশাসক হতে পারেন না। এর পিছনে শাসক দলের ক্ষমতা ধরে রাখার রাজনীতিকেই দেখছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে BJP-র জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত ক্ষমতা লোভী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোমা, পিস্তল নিয়ে গায়ের জোড়ে কাউকে নমিনেশন জমা দিতে না দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকলেন৷ একইভাবে যারা কাটমানি খায়, টাকা তোলে এমন লোকদের প্রশাসক হিসাবে বসাচ্ছেন৷ আমরা মনে করি এটা চরমতম অবৈধ কাজ। এটা করতে পারেন না৷"
তাঁর আরও বক্তব্য, "এতদিন জানতাম, প্রশাসক হিসাবে সরকারি আধিকারিক দায়িত্ব সামলে থাকেন৷ এখন দেখলাম সরকারি আধিকারিক, কর্মীদের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থা নেই, ভরসা নেই।"