বোলপুর, 30 জুন: ভিয়েতনামে গেঞ্জিতে ছাপা হচ্ছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের লেখা 'যৌক্তিকতা ও সামাজিক পছন্দ' শীর্ষক নিবন্ধের প্রথম পাতা ৷ সেই গেঞ্জি দেদার বিকোচ্ছে মার্কিন মুলুকে ৷ একথা টুইট করে জানালেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্তন প্রধান তথা ভারত সরকারের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু ৷
'অমর্ত্য' নামকরণ করেছিলেন স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । সেই ছেলে যে বিশ্বে সমাদৃত হবে তা বলাইবাহুল্য । 1998 সালে অর্থনীতিতে নোবেল পদক পান অধ্যাপক অমর্ত্য সেন । 1999 সালে তাঁকে 'ভারতরত্ন' সম্মানেও ভূষিত করা হয় । পাশাপাশি দেশ-বিদেশ থেকে 120টির বেশি সম্মাননা পেয়েছেন এই বঙ্গ সন্তান ৷ পেয়েছেন স্পেনের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মানও ।
প্রায় 90 বছর বয়সী বিশ্বের সম্পদ অমর্ত্য সেন এখন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ‘বিষ নজরে’ । তাঁকে 'জমি কব্জাকারী' উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া থেকে শুরু করে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও তাঁর নোবেল পদক জয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন । যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে একাধিকবার ৷ তবে প্রথম থেকে অধ্যাপক সেনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, যোগেন চৌধুরী, সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন প্রমুখ । পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জর্জ অর্থার একলর্ফ, বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্তন প্রধান তথা ভারত সরকারের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু, মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী নোম চমস্কির মতো প্রখ্যাত দেশ-বিদেশের বিদ্বজ্জনেরা ।
বিশ্বভারতীর তীর্যক মন্তব্যের মাঝেই নোবেলজয়ী বর্ষীয়ান এই অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের লালমাটির রাস্তায় সাইকেল চালানোর ছবি টুইট করেছিল 'দ্য নোবেল কমিটি' । পাশাপাশি তাঁর গবেষণামূলক কাজ নিয়ে বাকিদের উজ্জীবিত করতেও দেখা গিয়েছিল ৷ এবার দেখা গেল অমর্ত্য সেনের লেখা ছাপা হচ্ছে গেঞ্জিতে৷ তাও আবার বিদেশের মাটিতে ৷ 1995 সালে লেখা অধ্যাপক সেনের 'যৌক্তিকতা ও সামাজিক পছন্দ' শীর্ষক নিবন্ধের প্রথম পাতাটি গেঞ্জিতে ছাপাচ্ছে ভিয়েতনামের একটি টি-শার্ট সংস্থা ৷ এই গেঞ্জি দেদার বিকোচ্ছে মার্কিন মুলুকে ৷ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়ুয়াদের কাছে জনপ্রিয় সাদা গেঞ্জিতে কালো হরফে লেখা অমর্ত্য সেনের লেখনী । একথা টুইট করে জানালেন আরেক ভারতীয় অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু ৷
আরও পড়ুন: সোনাঝুরির রাস্তায় সাইকেলে অমর্ত্য, বিতর্কের মাঝে টুইট নোবেল প্রাইজ কমিটির