বোলপুর, 11 এপ্রিল : ঋণ শোধ করতে না পেরে মেয়েকে তৃণমূল নেতার হাতে তুলে দিল বাবা ৷ দিনের পর দিন ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করল তৃণমূল নেতা-সহ কয়েকজন । এমনই নৃশংস ঘটনার অভিযোগ উঠেছে, বীরভূমের বোলপুর এক আদিবাসী এলাকায় (Gang Rape in Bolpur) ৷ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দীপ্তিমান ঘোষকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে বোলপুর থানার পুলিশ । ধৃত ব্যক্তি তৃণমূলের সিয়ান-মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ৷ ওই নাবালিকা বর্তমানে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থানার সিয়ান-মুলুক এলাকায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তিমান ঘোষের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়েছিল ওই নাবালিকার বাবা ৷ কিন্তু ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না তিনি ৷ পাওনা টাকা চেয়ে চাপ বাড়াচ্ছিল ওই তৃণমূল নেতা ৷ তাই বাধ্য হয়ে নিজের নাবালিকা মেয়েকে ওই তৃণমূল নেতার হাতে তুলে দেন ওই ব্যক্তি ৷
আরও পড়ুন : নামখানাতেও মহিলাকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা
অভিযোগ, গত 31 মার্চ থেকে ওই নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ করে দীপ্তিমান ঘোষ নামে ওই তৃণমূল নেতা ও তার দুই সঙ্গী ৷ এই ঘটনায় নির্যাতিতার দিদি বোলপুর থানায় বাবা-মা সহ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ পেয়েই অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ও বোলপুরের এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে । নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 376 ডি (গণ ধর্ষণ), 506(হুমকি) ধারা ও পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ । অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তিমান ঘোষকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ নাবালিকার বাবা-সহ বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায় । নির্যাতিতার দিদি বলেন, "বোন ফোনে আমাকে সব জানিয়েছে ৷ ও ভয়ে রয়েছে । ও সুস্থ হলে ঘটনা আরও পরিষ্কার হবে ৷ আমরা চাই অভিযুক্তরা শাস্তি পাক ৷"