বোলপুর, 18 জুন: আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়ে সিপিএম ও কংগ্রেস প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের হুমকি তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বোলপুর-ইলামবাজার রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে তির-ধনুক হাতে নিয়ে পথ অবরোধ। অবরোধে সামিল হলেন আদিবাসী মানুষজনও।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রথমদিন থেকেই বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দু'দিন চরম আকার ধারণ করে ৷ দিকে দিকে বিরোধী প্রার্থীদের বাধা, মারধর, হুমকি, বাড়ি ভাঙচুর, দলীয় কার্যালয় দখল, পুলিশের সামনেই রাস্তায় ফেলে মারধর, 144 ধারা ভঙ্গ করতে দেখা যায় তৃণমূলের লোকজনকে ৷ এরপর দিকে দিকে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারে জন্য চাপ সৃষ্টি, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসে।
বিরোধীদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করিয়ে ইতিমধ্যেই নানুর ব্লকের 11টি পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে ৷ একইভাবে লাভপুর, ইলামবাজার, বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকেও একাধিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকের দখলে ৷ শুধুমাত্র বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকে রূপপুর ও রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধীরা এখনও পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেননি ৷ অভিযোগ, এদিন সকাল থেকে বহিরাগত তৃণমূলের লোকজন গ্রামে ঢুকে পড়েন ৷ বন্দুক দেখিয়ে সিপিএম ও কংগ্রেস প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখান ৷
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল কি সরকারি টাকায় কোট-সানগ্লাস কিনেছেন ? প্রশ্ন কুণালের
মনোনয়ন প্রত্যাহার না-করলে গুলি করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় ৷ এরই প্রতিবাদে এদিন বোলপুর থেকে ইলামবাজার যাওয়ার রাস্তায় রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে পথ অবরোধ শুরু করেন সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে হাতে তির-ধনুক নিয়ে চলে অবরোধ। এই অবরোধে সামিল হন আদিবাসী মানুষজনও ৷ সিপিএম নেতা বকুল ঘোড়ুই বলেন, "অস্ত্র নিয়ে, বন্দুক নিয়ে তৃণমূলের লোকজন গ্রামে এসে প্রার্থীদের হুমকি দিচ্ছে ৷ মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং পাঠিয়েছে বলে হুমকি দিচ্ছে ৷ জনগণের টাকায় প্রশাসনের ভাত-কাপড় হয় ৷ আর তারাই তৃণমূলের দালালি করছে ৷ তাই আমরা পথ অবরোধ করেছি ৷ পুরো গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের সঙ্গে আছে।"