ETV Bharat / state

Visva-Bharati Plaque Controversy: ফলক বদলের নির্দেশ মমতার জয় দেখছেন চন্দ্রনাথ, বিতর্কের ইতি টানতে বললেন অনুপম - plaque

Visva-Bharati World Heritage Plaque Controversy: বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ছাড়া ফলক বসানো নিয়ে বিতর্ক হয় ৷ কেন্দ্রের তরফে ওই ফলক সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এই নির্দেশে আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় হল বলে মত চন্দ্রনাথ সিংহর ৷ আর বিজেপির অনুপম হাজরা চাইছেন, ফলক বিতর্কের অবসান হোক ৷

Visva-Bharati Plaque Controversy
Visva-Bharati Plaque Controversy
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 16, 2023, 8:16 PM IST

ফলক বদলের নির্দেশ মমতার জয় দেখছেন চন্দ্রনাথ, বিতর্কের ইতি টানতে বললেন অনুপম

বোলপুর, 16 নভেম্বর: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি সংক্রান্ত বিতর্কিত ফলক কেন্দ্রীয় সরকার সরানোর নির্দেশ দিতেই খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনে ৷ এই ফলকের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় হিসেবেই দেখছেন ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী তথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা চন্দ্রনাথ সিংহ । অন্যদিকে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা চাইছেন, এই ফলক বিতর্কের এবার অবসান হোক ৷

উল্লেখ্য, শান্তিনেকতনকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা দিয়েছে ৷ তার পরই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে তিনটি শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয় ৷ সেখানে আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম ছিল ৷ কিন্তু যে শান্তিনিকেতনের সঙ্গে জড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সেই কবিগুরুর নাম ফলকে না থাকায় বিতর্ক ছড়ায় ৷

চারিদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই আক্রমণের নিশানা করে সবপক্ষ ৷ স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই নিয়ে মুখ খোলেন ৷ ফলক না সরানো পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা করেন ৷ তার পর গত 27 অক্টোবর থেকে 9 নভেম্বর পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ করে তৃণমূল কংগ্রেস ৷

এরই মাঝে মেয়াদ শেষ হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ৷ আর তিনি বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে প্রাক্তন হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে শিক্ষমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে যে ওই বিতর্কিত ফলক সরিয়ে দিতে হবে ৷ বদলে নতুন ফলক বসানো হবে ৷ আর নতুন ফলক কেমন হবে তার জন্য ছ’জন অধ্যাপককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জয় হল বলে মনে করছেন চন্দ্রনাথ সিং ৷

রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী বলেন, "এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় ৷ কবিগুরুকে বাদ দিয়ে কিছুই হয় না । তখনকার উপাচার্য নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এই ফলক বসিয়েছিলেন । আমরা দিদির নির্দেশে আন্দোলন করেছি 14 দিন ৷ তাই এই জয় তৃণমূলের জয় ৷ আর ফলক বদল করা হবে এতে সবাই খুশি ।"

তবে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, সেই সময় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সমালোচনা করেছিলেন অনুপম হাজরাও ৷ তাই কেন্দ্রের নির্দেশ আসার পর এই বিতর্ক নিয়ে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক বলেন, "বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে তৈলমর্দন করতে এই ফলক বসিয়েছিলেন ৷ যাতে নিজের মেয়াদ বাড়ে ৷ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অনুমতি ছাড়াই এই ফলক বসানো হয়েছিল ৷ এরপর রবীন্দ্র অনুরাগী ও শান্তিনিকেতনবাসীর মনের মতো ফলক বসবে ৷ তাই ফলক বিতর্কের ইতি এখানেই টানা হোক ।"

আরও পড়ুন:

  1. সরছে বিতর্কিত ফলক, কেন্দ্রের নির্দেশনামা পৌঁছল বিশ্বভারতীতে
  2. ফলক বিতর্কে উপাচার্যকে থানায় তলব, মুখ্যমন্ত্রীকে 'অসম্মান' করা নিয়েও অভিযোগ দায়ের

ফলক বদলের নির্দেশ মমতার জয় দেখছেন চন্দ্রনাথ, বিতর্কের ইতি টানতে বললেন অনুপম

বোলপুর, 16 নভেম্বর: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি সংক্রান্ত বিতর্কিত ফলক কেন্দ্রীয় সরকার সরানোর নির্দেশ দিতেই খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনে ৷ এই ফলকের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় হিসেবেই দেখছেন ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী তথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা চন্দ্রনাথ সিংহ । অন্যদিকে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা চাইছেন, এই ফলক বিতর্কের এবার অবসান হোক ৷

উল্লেখ্য, শান্তিনেকতনকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা দিয়েছে ৷ তার পরই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে তিনটি শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয় ৷ সেখানে আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম ছিল ৷ কিন্তু যে শান্তিনিকেতনের সঙ্গে জড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সেই কবিগুরুর নাম ফলকে না থাকায় বিতর্ক ছড়ায় ৷

চারিদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই আক্রমণের নিশানা করে সবপক্ষ ৷ স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই নিয়ে মুখ খোলেন ৷ ফলক না সরানো পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা করেন ৷ তার পর গত 27 অক্টোবর থেকে 9 নভেম্বর পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ করে তৃণমূল কংগ্রেস ৷

এরই মাঝে মেয়াদ শেষ হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ৷ আর তিনি বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে প্রাক্তন হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে শিক্ষমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে যে ওই বিতর্কিত ফলক সরিয়ে দিতে হবে ৷ বদলে নতুন ফলক বসানো হবে ৷ আর নতুন ফলক কেমন হবে তার জন্য ছ’জন অধ্যাপককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জয় হল বলে মনে করছেন চন্দ্রনাথ সিং ৷

রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী বলেন, "এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় ৷ কবিগুরুকে বাদ দিয়ে কিছুই হয় না । তখনকার উপাচার্য নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এই ফলক বসিয়েছিলেন । আমরা দিদির নির্দেশে আন্দোলন করেছি 14 দিন ৷ তাই এই জয় তৃণমূলের জয় ৷ আর ফলক বদল করা হবে এতে সবাই খুশি ।"

তবে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয়, সেই সময় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সমালোচনা করেছিলেন অনুপম হাজরাও ৷ তাই কেন্দ্রের নির্দেশ আসার পর এই বিতর্ক নিয়ে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক বলেন, "বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে তৈলমর্দন করতে এই ফলক বসিয়েছিলেন ৷ যাতে নিজের মেয়াদ বাড়ে ৷ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অনুমতি ছাড়াই এই ফলক বসানো হয়েছিল ৷ এরপর রবীন্দ্র অনুরাগী ও শান্তিনিকেতনবাসীর মনের মতো ফলক বসবে ৷ তাই ফলক বিতর্কের ইতি এখানেই টানা হোক ।"

আরও পড়ুন:

  1. সরছে বিতর্কিত ফলক, কেন্দ্রের নির্দেশনামা পৌঁছল বিশ্বভারতীতে
  2. ফলক বিতর্কে উপাচার্যকে থানায় তলব, মুখ্যমন্ত্রীকে 'অসম্মান' করা নিয়েও অভিযোগ দায়ের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.