ETV Bharat / state

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক হেনস্থার অভিযোগ

সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে। পালটা বিশ্বভারতী লিখিত অভিযোগ করে ওই সংবাদিকের বিরুদ্ধে।

author img

By

Published : Aug 1, 2020, 6:42 PM IST

বোলপুর
বোলপুর

শান্তিনিকেতন, 1 অগাস্ট : বিশেষ উপাসনার সময় ছবি তুলতে গিয়ে চিত্র সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে সাংবাদিককে আটক করে তার মোবাইল নিয়ে নেন উপাচার্য। এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চিত্রসাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ রায়। হেনস্থা জেরে আহত হন তিনি। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। পালটা বিশ্বভারতীর তরফেও ইন্দ্রজিৎ বাবুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।


প্রতি বুধবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সাপ্তাহিক উপাসনা হয়ে থাকে। তবে কখনও কখনও বিশেষ উপাসনারও প্রচলন রয়েছে। সেইমতো আজ বিশেষ উপাসনার আয়োজন করা হয়। কোরোনা আবহ থেকে মানব জাতির মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আজকের এই বিশেষ উপাসনা । এই উপাসনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, মন্দিরের আচার্য হিসেবে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে উপাসনা গৃহের ভেতরে কোনও রকম ছবি তোলা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, আজ উপাসনা গৃহের বাইরে রাস্তায় ছবি তুলছিলেন চিত্র সাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ রায়। সেই সময় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নির্দেশে 7 থেকে 8 জন নিরাপত্তারক্ষী ওই চিত্র সাংবাদিককে ধরে ফেলে। উপাচার্য নিজে এসে ওই চিত্র সাংবাদিকের ফোন নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে হেনস্থা ও ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন ওই চিত্র সাংবাদিক। আরও অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে নিয়ে ধস্তাধস্তিতে আহত হন চিত্র সাংবাদিক। প্রথমে তাকে বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো বিশৃংখলার সৃষ্টি হয় বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সামনে।
ফোনে চিত্রসাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, "উপাসনা গৃহের বাইরে রাস্তায় ছবি তুলছিলাম। সেই সময় উপাচার্যের নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে জোর করে চেপে ধরে। এরপরে উপাচার্য নিজে এসে আমার হাত চেপে ধরে ফোন কেড়ে নেয়। আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।"


পালটা বিশ্বভারতীর তরফেও শান্তিনিকেতন থানায় ওই চিত্রসাংবাদিকের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও, বিশ্বভারতী তরফে এই মর্মে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কেউই।

শান্তিনিকেতন, 1 অগাস্ট : বিশেষ উপাসনার সময় ছবি তুলতে গিয়ে চিত্র সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে সাংবাদিককে আটক করে তার মোবাইল নিয়ে নেন উপাচার্য। এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন চিত্রসাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ রায়। হেনস্থা জেরে আহত হন তিনি। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। পালটা বিশ্বভারতীর তরফেও ইন্দ্রজিৎ বাবুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।


প্রতি বুধবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সাপ্তাহিক উপাসনা হয়ে থাকে। তবে কখনও কখনও বিশেষ উপাসনারও প্রচলন রয়েছে। সেইমতো আজ বিশেষ উপাসনার আয়োজন করা হয়। কোরোনা আবহ থেকে মানব জাতির মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আজকের এই বিশেষ উপাসনা । এই উপাসনায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, মন্দিরের আচার্য হিসেবে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে উপাসনা গৃহের ভেতরে কোনও রকম ছবি তোলা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, আজ উপাসনা গৃহের বাইরে রাস্তায় ছবি তুলছিলেন চিত্র সাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ রায়। সেই সময় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নির্দেশে 7 থেকে 8 জন নিরাপত্তারক্ষী ওই চিত্র সাংবাদিককে ধরে ফেলে। উপাচার্য নিজে এসে ওই চিত্র সাংবাদিকের ফোন নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে হেনস্থা ও ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন ওই চিত্র সাংবাদিক। আরও অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে নিয়ে ধস্তাধস্তিতে আহত হন চিত্র সাংবাদিক। প্রথমে তাকে বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো বিশৃংখলার সৃষ্টি হয় বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সামনে।
ফোনে চিত্রসাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, "উপাসনা গৃহের বাইরে রাস্তায় ছবি তুলছিলাম। সেই সময় উপাচার্যের নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে জোর করে চেপে ধরে। এরপরে উপাচার্য নিজে এসে আমার হাত চেপে ধরে ফোন কেড়ে নেয়। আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।"


পালটা বিশ্বভারতীর তরফেও শান্তিনিকেতন থানায় ওই চিত্রসাংবাদিকের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও, বিশ্বভারতী তরফে এই মর্মে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কেউই।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.