ETV Bharat / state

প্রকৃতির কোলে শান্তির ঠিকানা বাঁকুড়ার তপোবন পাহাড় - The Tapoban hills

কথিত আছে সকল স্তরের মানুষের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন দেবী পার্বতী ৷ তাই বাঁকুড়াসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা মায়ের দর্শন করতে আসেন ৷ শুধু তাই নয়, ভিন রাজ্য থেকেও অনেক ভক্ত আসেন ৷ করোনার আবহে বর্তমানে কমেছে ভক্ত সমাগম ৷ তবে এখানে থাকার ব্যবস্থা নেই ৷ তাই তপোবন পাহাড় আসতে হলে ঘাঁটি গাড়তে হবে বাঁকুড়া শহরে ৷

bankura
bankura
author img

By

Published : Jun 30, 2021, 10:56 PM IST

বাঁকুড়া , 30 জুন : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাঁকুড়া জেলা ৷ ব্যস্ত জীবনে ছোট বিরতির ঠিকানা হতেই পারে বাঁকুড়ার তপোবন আশ্রম ৷ বাঁকুড়া শহর থেকে মাত্র 19 কিলোমিটার দুরে রয়েছে তপোবন পাহাড় ৷ সেই ওপরে মা পার্বতির মন্দির ৷ মন ভাল করা প্রাকৃতিক দৃশ্যপট সঙ্গী করে পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে উত্তম আশ্রম ৷

নিরিবিলি পরিবেশে একবেলা কাটালেই দুর হয়ে যাবে অবসাদ ৷ প্রায় একশো বছর আগে বীরানন্দ স্বামীজি নামে এক ব্যক্তি এই পাহাড়ে এসেছিলেন ৷ পরে তাঁর আরও কিছু সঙ্গী আসেন ৷ শোনা যায় এই পাহাড়ে তাঁরা তপস্যা করতেন ৷ সেই থেকেই পাহাড়ের নাম 'তপোবন পাহাড়' ৷ এই পাহাড় স্থানীয় ভাষায় কোড়ো নামেও পরিচিত ।

সাড়ে চারশো মিটার উঁচু তপোবন পাহাড়ের উপরে রয়েছে দেবী পার্বতীর মন্দির ৷ একটা সময় এই পাহাড়ের পাশের কাপিষ্ঠা গ্রামের অধিবাসীরা মুড়ি-তেলে ভাজা দিয়ে মায়ের ভোগ দিতেন ৷ আজও সেই রীতি অনুযায়ী মুড়ি তেলেভাজা দিয়ে মায়ের ভোগ দেওয়া হয়৷ নিয়ম মেনে মায়ের নিত্য পূজা হয় । 116টি সিঁড়ি ভাঙার পর আপনি পৌঁছাবেন পাড়ার চূড়ায় ৷ সেখানে রয়েছে পূর্বমুখী মন্দির ৷ মন্দিরের পরিবেশ বেশ শান্ত ৷ শতাধিক সিড়ি ভাঙার ক্লান্তি নিমেষেই কেটে যাবে ৷

কথিত আছে সকল স্তরের মানুষের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন দেবী পার্বতী ৷ তাই বাঁকুড়াসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা মায়ের দর্শন করতে আসেন ৷ শুধু তাই নয় ভিন রাজ্য থেকেও অনেক ভক্ত আসেন ৷ করোনার আবহে বর্তমানে কমেছে ভক্ত সমাগম ৷ তবে এখানে থাকার ব্যবস্থা নেই ৷ তাই তপোবন পাহাড় আসতে হলে ঘাঁটি গাড়তে হবে বাঁকুড়া শহরে ৷ সেখান থেকে বাসে অথবা ভাড়া গাড়িতে অমর কানন রোড ধরে 19 কিলোমিটার গেলেই দেখা মিলবে তপোবন পাহাড়ের ৷ সেখানে একবেলা কাটিয়ে ফিরে আসতে হবে বাঁকুড়া শহরে ৷

প্রকৃতির কোলে শান্তির ঠিকানা

তপোবন পাহাড়ের পাদদেশে উত্তম আশ্রম তৈরি হয়েছিল 1922 খ্রিস্টাব্দে বা 1329 বঙ্গাব্দে ৷ উত্তম আশ্রমের মূলশাখা রয়েছে হুগলির ডুমুরদহে ৷ সেই আশ্রমে ছিলেন বীরানন্দ স্বামীজি ৷ সেখান থেকে হিমালয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি ৷ শোনা যায় যাত্রাপথে এই পাহাড়ের এক গুহাতে ধ্যানে বসেছিলেন স্বামী বীরানন্দ ৷ সেই সময় কিছু বালক তাঁকে দেখতে পায় , এবং ভূত ভেবে গ্রামে খবর দেয় ৷ গ্রামের লোকেরা এসে বীরানন্দের কাছ থেকে প্রকৃত তথ্য জানতে পারেন ৷ গ্রামবাসীদের ব্যবহারে মুগ্ধ বীরানন্দ এখানে আশ্রম করার সিদ্ধান্ত নেন ৷

আরও পড়ুন : বাঁকুড়ার প্রতাপপুর বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তেজনা

এর পর ডুমুরদহ থেকে আরও কিছু স্বামীজি বাঁকুড়াতে আসেন ৷ এই পাহাড়েই তাঁরা ধ্যান করতেন ৷ শোনা যায় বিজ্ঞনানন্দ নামে এক মহারাজকে মা পার্বতী পাহাড়ের উপর মন্দির প্রতিষ্ঠার স্বপ্নাদেশ দেন ৷ কাশী থেকে মূর্তি এনে প্রতিষ্ঠার কথাও না কী বিজ্ঞনানন্দ স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন ৷ এর পর প্রতিষ্ঠিত হয় পার্বতী মায়ের মন্দির ৷

বাঁকুড়া , 30 জুন : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাঁকুড়া জেলা ৷ ব্যস্ত জীবনে ছোট বিরতির ঠিকানা হতেই পারে বাঁকুড়ার তপোবন আশ্রম ৷ বাঁকুড়া শহর থেকে মাত্র 19 কিলোমিটার দুরে রয়েছে তপোবন পাহাড় ৷ সেই ওপরে মা পার্বতির মন্দির ৷ মন ভাল করা প্রাকৃতিক দৃশ্যপট সঙ্গী করে পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে উত্তম আশ্রম ৷

নিরিবিলি পরিবেশে একবেলা কাটালেই দুর হয়ে যাবে অবসাদ ৷ প্রায় একশো বছর আগে বীরানন্দ স্বামীজি নামে এক ব্যক্তি এই পাহাড়ে এসেছিলেন ৷ পরে তাঁর আরও কিছু সঙ্গী আসেন ৷ শোনা যায় এই পাহাড়ে তাঁরা তপস্যা করতেন ৷ সেই থেকেই পাহাড়ের নাম 'তপোবন পাহাড়' ৷ এই পাহাড় স্থানীয় ভাষায় কোড়ো নামেও পরিচিত ।

সাড়ে চারশো মিটার উঁচু তপোবন পাহাড়ের উপরে রয়েছে দেবী পার্বতীর মন্দির ৷ একটা সময় এই পাহাড়ের পাশের কাপিষ্ঠা গ্রামের অধিবাসীরা মুড়ি-তেলে ভাজা দিয়ে মায়ের ভোগ দিতেন ৷ আজও সেই রীতি অনুযায়ী মুড়ি তেলেভাজা দিয়ে মায়ের ভোগ দেওয়া হয়৷ নিয়ম মেনে মায়ের নিত্য পূজা হয় । 116টি সিঁড়ি ভাঙার পর আপনি পৌঁছাবেন পাড়ার চূড়ায় ৷ সেখানে রয়েছে পূর্বমুখী মন্দির ৷ মন্দিরের পরিবেশ বেশ শান্ত ৷ শতাধিক সিড়ি ভাঙার ক্লান্তি নিমেষেই কেটে যাবে ৷

কথিত আছে সকল স্তরের মানুষের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন দেবী পার্বতী ৷ তাই বাঁকুড়াসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা মায়ের দর্শন করতে আসেন ৷ শুধু তাই নয় ভিন রাজ্য থেকেও অনেক ভক্ত আসেন ৷ করোনার আবহে বর্তমানে কমেছে ভক্ত সমাগম ৷ তবে এখানে থাকার ব্যবস্থা নেই ৷ তাই তপোবন পাহাড় আসতে হলে ঘাঁটি গাড়তে হবে বাঁকুড়া শহরে ৷ সেখান থেকে বাসে অথবা ভাড়া গাড়িতে অমর কানন রোড ধরে 19 কিলোমিটার গেলেই দেখা মিলবে তপোবন পাহাড়ের ৷ সেখানে একবেলা কাটিয়ে ফিরে আসতে হবে বাঁকুড়া শহরে ৷

প্রকৃতির কোলে শান্তির ঠিকানা

তপোবন পাহাড়ের পাদদেশে উত্তম আশ্রম তৈরি হয়েছিল 1922 খ্রিস্টাব্দে বা 1329 বঙ্গাব্দে ৷ উত্তম আশ্রমের মূলশাখা রয়েছে হুগলির ডুমুরদহে ৷ সেই আশ্রমে ছিলেন বীরানন্দ স্বামীজি ৷ সেখান থেকে হিমালয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি ৷ শোনা যায় যাত্রাপথে এই পাহাড়ের এক গুহাতে ধ্যানে বসেছিলেন স্বামী বীরানন্দ ৷ সেই সময় কিছু বালক তাঁকে দেখতে পায় , এবং ভূত ভেবে গ্রামে খবর দেয় ৷ গ্রামের লোকেরা এসে বীরানন্দের কাছ থেকে প্রকৃত তথ্য জানতে পারেন ৷ গ্রামবাসীদের ব্যবহারে মুগ্ধ বীরানন্দ এখানে আশ্রম করার সিদ্ধান্ত নেন ৷

আরও পড়ুন : বাঁকুড়ার প্রতাপপুর বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তেজনা

এর পর ডুমুরদহ থেকে আরও কিছু স্বামীজি বাঁকুড়াতে আসেন ৷ এই পাহাড়েই তাঁরা ধ্যান করতেন ৷ শোনা যায় বিজ্ঞনানন্দ নামে এক মহারাজকে মা পার্বতী পাহাড়ের উপর মন্দির প্রতিষ্ঠার স্বপ্নাদেশ দেন ৷ কাশী থেকে মূর্তি এনে প্রতিষ্ঠার কথাও না কী বিজ্ঞনানন্দ স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন ৷ এর পর প্রতিষ্ঠিত হয় পার্বতী মায়ের মন্দির ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.