বিষ্ণুপুর, 17 এপ্রিল : জয়ের বিষয়ে একশো শতাংশ আশাবাদী BJP প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। ETV ভারতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "এবারের নির্বাচনে আমার নিজের সাথে নিজের লড়াই।"
2011 সালে সৌমিত্র খাঁ কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করে বিধায়ক হন। এরপর তিনি দলবদল করে তৃণমূলে যোগদান করেন। 2014 সালে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সৌমিত্র খাঁ তৃণমূলের প্রার্থী হন। সেই বছর তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 5 লাখ 78 হাজার 870টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী CPI(M)-র সুমিস্তা বাউরি ভোট পান 4 লাখ 29 হাজার 185টি। অর্থাৎ সৌমিত্র খাঁ 1 লাখ 49 হাজার 366 ভোটে জয় লাভ করেন।
অথচ 2009 সালে এই বিষ্ণপুর আসনেই CPI(M) প্রার্থী সুমিস্তা বাউরি তৃণমূলের শিউলি সাহাকে 1 লাখ 29 হাজার 366 ভোটে পরাজিত করেন। 2009 সালে এই আসনটিতে CPI(M) পেয়েছিল 5 লাখ 41 হাজার 75 টি ভোট। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহা পেয়েছিলেন 4 লাখ 11হাজার 709 টি ভোট।
2009 সালে বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে ভোটদাতা ছিলেন 10 লাখ 53 হাজার 694 জন। 2014 সালে ভোটদাতার সংখ্যা ছিল 12 লাখ 81 হাজার 142 জন। এবার এই কেন্দ্রে ভোটদাতার সংখ্যা বেড়েছে 1 লাখ 6 হাজার 310 জন।
এই অবস্থায় এবার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই বিদায়ি সাংসদ এবং রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রীর মধ্যে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিজের লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করতে পারছেন না বিদায়ি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এবং সেই দিক থেকে প্রচারে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা।
সৌমিত্র খাঁ বলেন, "তৃণমূল-কংগ্রেসের চুরিটাকে মেনে নিতে পারিনি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে BJP আমাদের জায়গা দিয়েছে। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারছি। তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারতন্ত্রকে পুজো করে। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টিতে স্বচ্ছভাবে কাজটা করা যায়।" তিনি আরও বলেন, "এমপি ল্যাড থেকে 19 কোটি টাকার কাজ করেছি। এলাকার উন্নয়নে সব মিলিয়ে 482টি কাজ করেছি।" পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, "প্রশাসনের গাফিলতিতে আড়াই কোটি টাকা ফেরত গেছে।"