ETV Bharat / state

Body Recovered: প্রতিবেশীর গোবর গ্যাসের ট্যাংক থেকে উদ্ধার নিখোঁজ বধূর দেহ, গ্রেফতার শ্বশুর-শাশুড়ি

বাঁকুড়ায় প্রতিবেশীর গোবর গ্যাসের ট্যাংক থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ গৃহবধূর গলার নলিকাটা দেহ ৷ এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতার শ্বশুর ও শাশুড়িকে । আটক করা হয়েছে স্বামীকে ।

Body Recovered
উদ্ধার নিখোঁজ বধূর দেহ
author img

By

Published : Aug 20, 2023, 4:05 PM IST

উদ্ধার নিখোঁজ বধূর দেহ

বাঁকুড়া, 20 অগস্ট: গত পরশুই ইটিভি ভারতে বাঁকুড়ার গৃহবধূর নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল ৷ এ বার খোঁজ মিলল সেই গৃহবধূর ৷ রবিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ পুত্রবধূর গলার নলি কেটে খুন করে প্রতিবেশীর গোবর গ্যাসের ট্যাংকে দেহ ভরে রাখার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে । এই পুরো ঘটনায় প্রত্যক্ষ যোগসাজসের অভিযোগ উঠেছে মৃতার স্বামীর বিরুদ্ধেও । নৃশংস ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার ঢেঁকিয়া গ্রামে । শালতোড়া থানার পুলিশ প্রতিবেশীর গোবর গ্যাসের ট্যাংক থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে । জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে মৃতার স্বামীকেও ।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার । ওই দিন আচমকাই শালতোড়া থানার ঢেকিয়া গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মোনালিসা ঘটক নামে গৃহবধূ । বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটক মোনালিসার বাবা ও মাকে সঙ্গে নিয়ে শালতোড়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ জানান, তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের বাবা সুজিত ঘটক ও মা ইতু ঘটকও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে পুলিশকে জানান কাজু ।

সেই সময়ই মোনালিসার বাপের বাড়ির লোকজন পুলিশকে জানান, পণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মেয়ের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিলেন শ্বশুর-শাশুড়ি । তার সঙ্গে এই নিখোঁজের ঘটনার সম্পর্ক থাকতে পারে, এমন তথ্যও পুলিশের হাতে তুলে দেন মোনালিসার বাবা ও মা । ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই মোনালিসার শ্বশুর-শাশুড়ির খোঁজ শুরু করে পুলিশ । দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটককেও । শেষ পর্যন্ত বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ জানতে পারে, মৃতার শ্বশুর-শাশুড়ি বিষ্ণুপুর থানার হিংজুড়ি গ্রামে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে আছেন ।

আরও পড়ুন: যৌন অত্যাচারে সন্তানের জন্ম সৎ মেয়ের, বাবাকে 20 বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত

সেখানে হানা দিয়ে নিখোঁজ বধূর শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ । জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তাঁরা ভেঙে পড়েন । এরপরই পুলিশ ঢেঁকিয়া গ্রামে হানা দিয়ে মৃতার প্রতিবেশীর গোবর গ্যাসের একটি ট্যাংক থেকে দেহ উদ্ধার করে । আজ দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে ৷ ধৃত শ্বশুর সুজিত ঘটক ও শাশুড়ি ইতু ঘটককে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা মোনালিসা বছর ছয়েক আগে শালতোড়ার বিষজোড় গ্রামের এক যুবককে ভালোবেসে বিয়ে করেন । পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী ঢেকিয়া গ্রামের কাজু ঘটকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি ৷ এরপর কাজুকে বিয়ে করে ঢেঁকিয়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন মোনালিসা । খুনের মোটিভ জানার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি এই খুনের পিছনে বধূর স্বামীর কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

মৃত ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাঁর স্বামী কাজু ঘটকের প্রত্যক্ষ মদত ও যোগসাজসেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন শ্বশুর ও শাশুড়ি । গোটা ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা ৷

উদ্ধার নিখোঁজ বধূর দেহ

বাঁকুড়া, 20 অগস্ট: গত পরশুই ইটিভি ভারতে বাঁকুড়ার গৃহবধূর নিখোঁজ হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল ৷ এ বার খোঁজ মিলল সেই গৃহবধূর ৷ রবিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ পুত্রবধূর গলার নলি কেটে খুন করে প্রতিবেশীর গোবর গ্যাসের ট্যাংকে দেহ ভরে রাখার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে । এই পুরো ঘটনায় প্রত্যক্ষ যোগসাজসের অভিযোগ উঠেছে মৃতার স্বামীর বিরুদ্ধেও । নৃশংস ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার ঢেঁকিয়া গ্রামে । শালতোড়া থানার পুলিশ প্রতিবেশীর গোবর গ্যাসের ট্যাংক থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে । জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে মৃতার স্বামীকেও ।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার । ওই দিন আচমকাই শালতোড়া থানার ঢেকিয়া গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান মোনালিসা ঘটক নামে গৃহবধূ । বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটক মোনালিসার বাবা ও মাকে সঙ্গে নিয়ে শালতোড়া থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ জানান, তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের বাবা সুজিত ঘটক ও মা ইতু ঘটকও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে পুলিশকে জানান কাজু ।

সেই সময়ই মোনালিসার বাপের বাড়ির লোকজন পুলিশকে জানান, পণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মেয়ের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিলেন শ্বশুর-শাশুড়ি । তার সঙ্গে এই নিখোঁজের ঘটনার সম্পর্ক থাকতে পারে, এমন তথ্যও পুলিশের হাতে তুলে দেন মোনালিসার বাবা ও মা । ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই মোনালিসার শ্বশুর-শাশুড়ির খোঁজ শুরু করে পুলিশ । দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মোনালিসার স্বামী কাজু ঘটককেও । শেষ পর্যন্ত বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ জানতে পারে, মৃতার শ্বশুর-শাশুড়ি বিষ্ণুপুর থানার হিংজুড়ি গ্রামে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে আছেন ।

আরও পড়ুন: যৌন অত্যাচারে সন্তানের জন্ম সৎ মেয়ের, বাবাকে 20 বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত

সেখানে হানা দিয়ে নিখোঁজ বধূর শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ । জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তাঁরা ভেঙে পড়েন । এরপরই পুলিশ ঢেঁকিয়া গ্রামে হানা দিয়ে মৃতার প্রতিবেশীর গোবর গ্যাসের একটি ট্যাংক থেকে দেহ উদ্ধার করে । আজ দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে ৷ ধৃত শ্বশুর সুজিত ঘটক ও শাশুড়ি ইতু ঘটককে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা মোনালিসা বছর ছয়েক আগে শালতোড়ার বিষজোড় গ্রামের এক যুবককে ভালোবেসে বিয়ে করেন । পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী ঢেকিয়া গ্রামের কাজু ঘটকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি ৷ এরপর কাজুকে বিয়ে করে ঢেঁকিয়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন মোনালিসা । খুনের মোটিভ জানার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি এই খুনের পিছনে বধূর স্বামীর কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

মৃত ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাঁর স্বামী কাজু ঘটকের প্রত্যক্ষ মদত ও যোগসাজসেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন শ্বশুর ও শাশুড়ি । গোটা ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.