ETV Bharat / state

আভিজাত্যে মোড়া মল্লগড়ের বালুচরীর কদর আজও শিখরে

2016-17 সালে কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে রিভাইভাল অফ বালুচরী প্রজেক্ট ৷ শুরু হয়েছে আদি মুর্শিদাবাদি বালুচরীর বয়নকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস ৷

Baluchari Saree
ছবি
author img

By

Published : Apr 11, 2021, 8:35 PM IST

বাঁকুড়া, 11 এপ্রিল : বালুচরী ৷ নামের মধ্যেই রয়েছে আভিজাত্য ৷ প্রতিটি শাড়ি যেন কথা বলে ৷ প্রতিটি সুতোর টানে যেন নিজস্ব একটা কথন আছে ৷ কোথাও ফুটে উঠেছে টেরাকোটার কারুকাজ ৷ কোথাও মহাভারতের গল্প ৷ কোথাও আবার আদিবাসী নৃত্য ৷

বাঙালির শাড়ির সম্ভারে বছরের পর বছর ধরে স্বমহিমায় বিরাজমান বালুচরী ৷ নবাবী এই শাড়িগুলি কোনওটি তৈরি করতে সময় লাগে এক মাস ৷ কোনওটি আবার পনেরো দিন । এক একটা শাড়ির দাম 6 হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা ৷

বালুচরীর ইতিহাস বলতে, এটি শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ সংলগ্ন বালুচর নামে কোনও এক এলাকায় ৷ অনেক নথি আবার বলছে, জিয়াগঞ্জেরই পূর্বনাম ছিল বালুচর ৷ সেই বালুচর নাম থেকেই এসেছে বালুচরী ৷ শিল্পীদের কাছে বালুচরীর বয়ন এক সাধনার মতো ৷ সেই সময় নবাবরা তাঁদের বেগমদের জন্য শাড়ি বানাতেন বালুচরের শিল্পীদের দিয়ে ৷

বিদেশের বাজারেও কদর বাড়ছে মল্লগড়ের বালুচরীর

কালক্রমে গঙ্গাগর্ভে হারিয়ে যায় এই বালুচর প্রদেশ ৷ এরপর কালের নিয়মে হারিয়ে যায় বালুচরী শাড়ি ৷ মাঝে পেরিয়ে যায় অনেকটা সময় ৷ দীর্ঘদিন পর এর কিছু নকশা শুভ ঠাকুরের হাত ধরে বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত কারুকার্য শিল্পী অক্ষয়দাস পাঠরাঙার হাতে আসে ৷ তার পর বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের পৃষ্টপোষকতায় বালুচরী শিল্পের নবজাগরণ ঘটে ।

আরও পড়ুন : পুজোর চমক শান্তিপুরের "কোরোনা 2020" শাড়ি

এই মল্লগড়ের টেরাকোটা মন্দিরের কারুকার্য দেখে শুরু হয় এই শাড়ীর ডিজ়াইন । পরবর্তীতে অনেকভাবে এই শিল্পের ধরন অভিযোজিত হয়ে অন্য রূপ ধারন করেছে ৷ কখনও ফুটে উঠেছে মহাভারতের গল্প ৷ কখনও আদিবাসী নৃত্য ৷

এমন কাজের বিশ্ব বাজারে জুড়ি মেলা ভার । 2016-17 সালে কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে রিভাইভাল অফ বালুচরী প্রজেক্ট ৷ শুরু হয়েছে আদি মুর্শিদাবাদি বালুচরীর বয়নকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস ৷

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশের বাজারেও সমাদর বেড়েছে বালুচরীর ৷ কদর বরাবরই রয়েছে ৷ বিদেশেও যাচ্ছে ৷ তবে শিল্পীরা চাইছেন আরও ব্যাপ্তি হোক বালিচরীর ৷

বাঁকুড়া, 11 এপ্রিল : বালুচরী ৷ নামের মধ্যেই রয়েছে আভিজাত্য ৷ প্রতিটি শাড়ি যেন কথা বলে ৷ প্রতিটি সুতোর টানে যেন নিজস্ব একটা কথন আছে ৷ কোথাও ফুটে উঠেছে টেরাকোটার কারুকাজ ৷ কোথাও মহাভারতের গল্প ৷ কোথাও আবার আদিবাসী নৃত্য ৷

বাঙালির শাড়ির সম্ভারে বছরের পর বছর ধরে স্বমহিমায় বিরাজমান বালুচরী ৷ নবাবী এই শাড়িগুলি কোনওটি তৈরি করতে সময় লাগে এক মাস ৷ কোনওটি আবার পনেরো দিন । এক একটা শাড়ির দাম 6 হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা ৷

বালুচরীর ইতিহাস বলতে, এটি শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ সংলগ্ন বালুচর নামে কোনও এক এলাকায় ৷ অনেক নথি আবার বলছে, জিয়াগঞ্জেরই পূর্বনাম ছিল বালুচর ৷ সেই বালুচর নাম থেকেই এসেছে বালুচরী ৷ শিল্পীদের কাছে বালুচরীর বয়ন এক সাধনার মতো ৷ সেই সময় নবাবরা তাঁদের বেগমদের জন্য শাড়ি বানাতেন বালুচরের শিল্পীদের দিয়ে ৷

বিদেশের বাজারেও কদর বাড়ছে মল্লগড়ের বালুচরীর

কালক্রমে গঙ্গাগর্ভে হারিয়ে যায় এই বালুচর প্রদেশ ৷ এরপর কালের নিয়মে হারিয়ে যায় বালুচরী শাড়ি ৷ মাঝে পেরিয়ে যায় অনেকটা সময় ৷ দীর্ঘদিন পর এর কিছু নকশা শুভ ঠাকুরের হাত ধরে বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত কারুকার্য শিল্পী অক্ষয়দাস পাঠরাঙার হাতে আসে ৷ তার পর বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের পৃষ্টপোষকতায় বালুচরী শিল্পের নবজাগরণ ঘটে ।

আরও পড়ুন : পুজোর চমক শান্তিপুরের "কোরোনা 2020" শাড়ি

এই মল্লগড়ের টেরাকোটা মন্দিরের কারুকার্য দেখে শুরু হয় এই শাড়ীর ডিজ়াইন । পরবর্তীতে অনেকভাবে এই শিল্পের ধরন অভিযোজিত হয়ে অন্য রূপ ধারন করেছে ৷ কখনও ফুটে উঠেছে মহাভারতের গল্প ৷ কখনও আদিবাসী নৃত্য ৷

এমন কাজের বিশ্ব বাজারে জুড়ি মেলা ভার । 2016-17 সালে কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে রিভাইভাল অফ বালুচরী প্রজেক্ট ৷ শুরু হয়েছে আদি মুর্শিদাবাদি বালুচরীর বয়নকে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস ৷

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশের বাজারেও সমাদর বেড়েছে বালুচরীর ৷ কদর বরাবরই রয়েছে ৷ বিদেশেও যাচ্ছে ৷ তবে শিল্পীরা চাইছেন আরও ব্যাপ্তি হোক বালিচরীর ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.