জলপাইগুড়ি, ১ মার্চ : কংগ্রেস-BJP জোট ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানসহ চারজন পঞ্চায়েত সদস্য। প্রধান দীপককুমার শ্যাম ও উপপ্রধান পুনম শর্মা জানান, ২০১৮ সালে কংগ্রেস ও BJP যৌথভাবে বোর্ড গঠন করেছিল। কিন্তু, তৃণমূল প্রথম থেকেই অসহযোগিতা করছিল। তাই গ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে তাঁরা জোট ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। ধুপগুড়ি জেলা পরিষদের বাংলোয় আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তাঁরা।
বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২৩। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ৬ , কংগ্রেস ৯ , BJP ৭ ও CPI(M) ১টি আসন পেয়েছিল। পরে কংগ্রেসের ৪ জন তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে তৃণমূলের মোট আসন হয় ১০। কংগ্রেস ৫, BJP ৭ ও CPI(M) ১টি সবমিলিয়ে ১৩ টি আসন নিয়ে যৌথভাবে বোর্ড গঠন করেছিল কংগ্রেস ও BJP। পঞ্চায়েত প্রধান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন দীপককুমার শ্যাম। উপপ্রধান করা হয় পুনম শর্মাকে।
পঞ্চায়েত সদস্যা যমুনা মাহালি বলেন, "কংগ্রেসে থেকে আমরা কাজ করতে পারছিলাম না। তৃণমূল আমাদের সহযোগিতা করছিল না। তাই আমরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিলাম। শুধু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্যই নয়, আমরা গ্রামের উন্নতি চাই। তাই দল বদলের সিদ্ধান্ত।"
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, "বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত জলপাইগুড়ি জেলার মাদারিহাট বিধানসভার মধ্যে পড়ে। তবে লোকসভা অবশ্য আলিপুরদুয়ার। এর ফলে আগামী দিনে মাদারিহাটে BJP-র কোনও অস্তিত্ব থাকল না। তৃণমূলের শক্তি অনেক বেড়ে গেল। লোকসভায় আলিপুরদুয়ার আসনটাও আমাদের নিশ্চিত হল।"