আলিপুরদুয়ার, 7 এপ্রিল : কোরোনার বিরুদ্ধে ঘোষিত যুদ্ধে তাঁরাই প্রথম সারির সৈনিক । নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত পরিষেবা দিয়ে চলেছেন । উদ্দেশ্য একটাই, কোরোনাকে হারিয়ে মানবজীবনকে জিতিয়ে দেওয়া । এতদিন তাঁরা নিজেদের পরিষেবার মাধ্যমেই মূলত এই যুদ্ধে সাহায্য করে এসেছেন । এবার এই কোরোনা মোকাবিলায় আর্থিক সাহায্যতেও এগিয়ে এলেন এরকমই এক সৈনিক । তিনি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসক । কোরোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন তহবিলে দিলেন এক লাখ টাকা ।
আলিপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক পার্থপ্রতিম দাস । বর্তমানে কোরোনা মোকাবিলায় আলিপুরদুয়ার তপসিখাতার আয়ূষ হাসপাতালে নির্মিত আইসোলেশন ইউনিটের দায়িত্বে রয়েছেন । তাই বন্ধ নিজের প্রাইভেট প্র্যাকটিস । জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই ছুটে যাচ্ছেন দায়িত্বে থাকা তপসিখাতার আইসোলেশন ইউনিটে । নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে নিজের টিমকে নিয়ে দেখাশোনা করছেন সেখানে । তাঁর এই পরিষেবাই যথেষ্ট ছিল নিজের পেশাকে সার্থক করার জন্য । কিন্তু তাও তিনি থেমে থাকেননি । নিজের জ্ঞান ও অধ্যাবসায় এই সময়ে মানুষের জীবন বাঁচানোয় উজার করে দেওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীন তহবিলে দিলেন এক লাখ টাকা ।
তাঁর এই কাজের জন্য ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছেন পার্থপ্রতিম । আলিপুরদুয়ার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ পূরণ শর্মা বলেন, "পার্থপ্রতিম চিকিৎসা মহলের পথপ্রদর্শক । আমাদের চিকিৎসকরা যেমন জীবন বাজি রেখে মানুষের সেবায় নিবেদিত প্রাণ, ঠিক তেমন আর্থিকভাবেও এই সংকটের সময় এগিয়ে আসতে পারেন, সেটাই প্রমাণ করেছেন তিনি ।"